দুর্গাপুজো শেষ হলেও এখনও উৎসবের রেশ কাটেনি শহরজুড়ে। কিন্তু সেই সঙ্গে জাঁকজমকপূর্ণ পুজোর সাজসজ্জার বোঝাও যেন নামছে না কলকাতার কাঁধ থেকে। পুজোর সময় শহরের গলি–মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান রাস্তাগুলি ঢেকে গিয়েছিল রঙিন ব্যানার, পোস্টার, ও হোর্ডিংয়ে। লক্ষ্মীপুজো কেটে গেলেও, এখনও বেশিরভাগ জায়গায় সেগুলো ঝুলেই রয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
সম্প্রতি পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র বলেন, ‘দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে, শহর এখন আগের ছন্দে ফিরছে। তাই উদ্যোক্তাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে দ্রুত এই ব্যানার ও হোর্ডিং খুলে ফেলুন। এতে পথচারীদের চলাচলে যেমন অসুবিধা হচ্ছে, তেমনি যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।’
Advertisement
তিনি আরও জানান, উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা, প্রায় সব এলাকাতেই এখনও কোথাও আধখোলা মণ্ডপ, কোথাও আবার প্যান্ডেল ভাঙা হলেও মঞ্চ পড়ে আছে যেমন-তেমন অবস্থায়। কোথাও রাস্তায় ডাঁই করে রাখা বাঁশ, আবার কোথাও রাস্তার পাশে পড়ে আছে বিশাল বিজ্ঞাপনের কাঠামো। এতে শুধু শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে না, বরং বিপদও বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
Advertisement
মেয়রের বক্তব্য, ‘এখনও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। প্যান্ডেল বা মঞ্চের নিচে জল জমে থাকলে সেখানে মশার প্রজনন বাড়বে। যদিও কলকাতায় ডেঙ্গু সংক্রমণ আগের তুলনায় কম, তবুও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোক্তারা যেন নিজেদের এলাকায় স্প্রে করেন।’
বুধবারই ছিল শহরের সব মণ্ডপ খুলে ফেলার নির্ধারিত শেষ দিন। কিন্তু বেশ কিছু ক্লাব সেই নির্দেশ মানেনি। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘শহরকে সুন্দর রাখার দায়িত্ব সবার। পুজোর আনন্দে আমরা মেতে উঠেছিলাম, এখন সময় শহরকে তার আগের রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার।’
এদিনই মেয়র আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ‘ধাপায় আর কোনও ভাগাড় থাকবে না। পুরসভা নিজস্ব জমিতে একটি আধুনিক প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করবে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে আগামী তিন বছরের মধ্যে এই ইউনিট গড়ে তোলা হবে।’
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর পর শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। যারা নিয়ম ভাঙছেন, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের পরও ব্যানার বা হোর্ডিং নামাচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
Advertisement



