বিহারের মতো বাংলার কিছু অংশেও কি নির্বাচনের আগে মোতায়েন করা হবে আধাসেনা? নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেওয়া রিপোর্টে রাজ্যপাল এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে সূত্র মারফত খবর।
উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়া এলাকাগুলি ঘুরে দেখার পরই দিল্লিতে এসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতিকে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। সেই রিপোর্টে তদন্ত কমিটি গঠন, রাজ্যের কিছু অংশে আধা সেনা মোতায়েনের মতো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
Advertisement
রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বাংলার রাস্তায় কী চলছে আমরা দেখেছি। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যদিকে মানুষের অত্যাচার’। দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, কড়া সুরে রাজ্যপাল বলেন, ‘বাংলার মানুষ আরও ভাল পুলিশি ব্যবস্থা এবং প্রশাসন পাওয়ার অধিকারী। রাষ্ট্রপতিকে যা রিপোর্ট দেওয়ার আমি দিয়েছি। তা আমি প্রকাশ্যে বলব না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যেরই।’
Advertisement
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, নাগরাকাটা কাণ্ডের পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য রাজ্য সরকারকে তিনি ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন, তা না হলে সংবিধান মেনেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল। চব্বিশ ঘণ্টার সেই সময়সীমা ফুরিয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের জন্য তিনি কোনও প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি’। রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। সবাই মিলে রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
Advertisement



