দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল ওড়িশার কটকে। এর জেরে টানা ৩৬ ঘণ্টা কটক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে কার্ফুও জারি করা হয়েছে।
রবিবার রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা অবধি কার্ফু লাগু থাকবে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের জারি করা সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে মিথ্যা এবং উস্কানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সত্যব্রত সাহু বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।’ পুলিশ কমিশনার কটকের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার, গুজব এড়িয়ে চলার এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ওড়িশা পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রচুর পুলিশকর্মী ও ৬ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কটকের সমস্ত প্রবেশপথ সিল করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১৬৩-এর অধীনে ১৩টি থানা এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। বেআইনি সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে সরকারি অফিস খোলা থাকবে, সূত্র জানিয়েছে।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি এই ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যাঁরা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার মতো কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement



