মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল পুরস্কার বিষয়ে অভিমান প্রকাশ করে বলেছেন যে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া না হলে তা হবে আমেরিকার অপমান। তিনি নোবেল কমিটিকে কটাক্ষ করে বলেন যে কমিটির তরফ থেকে এমন কাউকে নোবেল দেওয়া হবে যিনি উল্লেখযোগ্য কিছুই করেননি। তিনি দাবি করেছেন যে সারা বিশ্বে চলতে থাকা অনেকগুলি যুদ্ধ তিনি থামিয়েছেন।
সম্প্রতি ট্রাম্প একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমি সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছি। গাজার যুদ্ধ নিয়ে ২০ দফার একটি প্রস্তাব পেশ করেছি। ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হলে তা আট নম্বর হবে। এই ধরনের কাজ আগে কেউ করেননি। কিন্তু এত কিছুর পরেও ওরা আমাকে নোবেল দেবে না। ওরা এমন কাউকে নোবেল দেবে, যিনি জীবনে সেরকম কিছুই করেননি।” তিনি আরও বলেন যে, তিনি পুরস্কার নিজের জন্য চাইছেন না।চাইছেন দেশের জন্য। নোবেল এমন কাউকে দেওয়া হয়, যিনি সমাজের উন্নতির জন্য বড় কোনও কাজ করেছেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, ট্রাম্প বহুদিন ধরে দাবি করেছেন যে, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য যোগ্য প্রার্থী। এর আগে তিনি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন যে, ওবামাও খুব অল্প সময়ের মধ্যে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন ৭টি যুদ্ধ তিনি থামিয়েছেন এবং হামাস- ইজরায়েল ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও তিনি থামাতে আগ্রহী। এই কারণে তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সম্পূর্ণ যোগ্যতা রয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে নোবেল কমিটির সচিব ক্রিশ্চিয়ান বার্গ হার্পভিকেন বলেন যে, একজন প্রার্থীকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের আলোচনার দ্বারা কমিটির সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হবে না। কমিটি প্রার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির সদস্যদের উপর কোনো চাপ নেই এবং কোনো বাইরের চাপ কমিটির সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে না। নোবেল কমিটির তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা এলেও নিজের ইচ্ছেপূরণের জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এমনও শোনা গিয়েছে যে, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য তিনি নিজের অধীনস্থ ব্যক্তিদের ব্যবহার করেছেন।
Advertisement
আগামী ১০ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসবে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপকের নাম। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও বলেছেন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত। ট্রাম্প ভারতের কাছেও আবেদন করেছিলেন নোবেল পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করার জন্য তবে ভারত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।এই বছর ট্রাম্পের নোবেল না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি কারণ নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের শেষ তারিখ ছিল ৩১ জানুয়ারী। তার মাত্র ১১ দিন আগে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেন। সুতরাং ট্রাম্পের নাম যদি নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়, তবে তা হবে আগামী বছরের জন্য।
Advertisement



