নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সুশীলা কারকিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার প্রথমবার তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মোদী। সূত্রের খবর, নেপালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভারত যে নেপালের পাশে সবসময় রয়েছে, সে কথা জানিয়েছেন মোদী। সুশীলা কারকির সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি সুশীলা কারকির সঙ্গে কথা হয়েছে। দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছি। দেশে শান্তি ও স্থিতি ফেরাতে তাঁকে সব দিক দিয়ে সাহায্য করবে ভারত। আগামিকাল নেপালের জাতীয় দিবস। এই আবহে তাঁকে ও নেপালের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানাই।’
Advertisement
এদিকে মোদীর অভিনন্দন বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে মোদীকে প্রথম ফোন করেন কারকি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কারকির তরফে এই যোগাযোগে এটি স্পষ্ট যে, নেপালে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতকে গুরুত্ব দিতে আগ্রহী।
Advertisement
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কারকি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা রয়েছে। কারণ, তারা সর্বদা নেপালের পাশে থেকেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নেপাল বহুদিন ধরেই নানারকম সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়েছে। দেশের উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। নেপালের নতুন সূচনা স্থাপনের চেষ্টা করব।’
নেপালে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও প্রাণহানির ঘটনায় আগেই সমবেদনা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার তিনি নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির সঙ্গে প্রথমবার ফোনে কথা বলেন। নরেন্দ্র মোদী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, এই সঙ্কটকালে নেপালের পাশে দৃঢ়ভাবে থাকবে ভারত।
নেপালে জেন-জি আন্দোলনের জেরে নেপালে সরকারের পতন হয়। দেশে একাধিক সমাজ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করার প্রতিবাদে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-যুব সমাজ। আন্দোলনের ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়লে তার জেরে ৯ সেপ্টেম্বর ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর রাতে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তিনিই হন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
সুশীলা কারকিকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সুশীলার প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্বগ্রহণকে নারীর ক্ষমতায়নের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলেও অভিহিত করেন মোদী। নেপালের জেন-জি যুবদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে মোদীর মুখে। এই প্রথম ফোনে কথা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কারকিও। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা নিয়েও উভয় পক্ষের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement



