• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

হার্ভার্ডের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ট্রাম্প প্রশাসনকে জানাল আদালত

ঘটনার সূত্রপাত প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থেকে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করল ফেডেরাল আদালত। বিচারপতি অ্যালিসন বারোসের এই রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায়ে মার্কিন উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার এক গুরুত্বপূর্ণ নজির গড়ল আদালত।

ঘটনার সূত্রপাত প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থেকে। হার্ভার্ড সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইজরায়েল-বিরোধী অবস্থানের জেরে সেগুলিকে ইহুদি বিদ্বেষের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হার্ভার্ডের গবেষণা সংক্রান্ত আর্থিক অনুদান, প্রায় ২০০ কোটি টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আরও ৪৫ কোটি ডলারের অনুদান বন্ধ করা হয়। একইসঙ্গে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রকল্প বন্ধ এবং করছাড়ের মর্যাদা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষা দপ্তরের তরফে।

Advertisement

বিচারপতি বারোস তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতির সঙ্গে দ্বিমত থাকার কারণে প্রশাসন যে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এবং শিক্ষা সংক্রান্ত আইনের পরিপন্থী। হার্ভার্ডের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং স্পষ্টত বেআইনি।’ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং হার্ভার্ডের গবেষণা প্রকল্প ও অর্থায়ন সংক্রান্ত পূর্বাবস্থা ফেরাতে হবে।

Advertisement

ফেডেরাল আদালতের এই রায়ের পর হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এই রায় শুধু আমাদের জন্য নয়, আমেরিকার সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাদের স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে একটি বড় জয়। উল্লেখ্য, এর আগে বিদেশি পড়ুয়াদের আমেরিকায় থাকার নিয়ম নিয়ে আদালতে পরাজিত হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। একের পর এক মামলায় আদালতের রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাধীনতার পক্ষে মত দেওয়ায় শিক্ষা মহলে স্বস্তি ফিরেছে।

Advertisement