• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনা খারিজ করলেন ট্রাম্প

বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দিনের শুরুতে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার বার্তা দিলেও দিন শেষে হতে না হতে ভোল বদল করে ফের ভারতকে হুমকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ভারতীয় পণ্যের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে না আমেরিকা।

উল্লেখ্য এই হুমকির পেছনে তিয়ানজিনে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষসম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পার্শ্ববৈঠক দেখছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় পণ্যের উপর জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, গত কয়েক দশক ধরে চলা দিল্লি-ওয়াশিংটনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আসলে ‘একতরফা বিপর্যয়’। এ প্রসঙ্গে তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘খুব কম মানুষই বোঝেন যে আসলে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করলেও ভারত আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে। আমরা তাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। কিন্তু আমরা তাদের খুব কম পরিমাণ পণ্য বিক্রি করি। ভারতের এই একতরফা ব্যবসা চলতে পারে না।’ ট্রাম্পের আরও দাবি, ‘ভারত এখন আমাদের উপর এত বেশি শুল্ক আরোপ করেছে, যা অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। আমরা আমাদের পণ্য ভারতে বিক্রি করতে অক্ষম। এটি সম্পূর্ণ একতরফা বিপর্যয়! এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’

Advertisement

উল্লেখ্য, বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে অতিরিক্ত ও অনির্দিষ্ট একটি ‘জরিমানা’ (পেনাল্টি)-র কথাও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর পরে গত ৬ অগস্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কের উপর আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা (অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ) আরোপ করার কথা ঘোষণা করেন। যা, ব্রাজিল ছাড়া অন্য সমস্ত দেশের উপর আরোপিত মার্কিন শুল্কের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ২৭ আগস্ট থেকে ভারতের ওপর সেই শুল্ক কার্যকর করেছে ভারত। এই শুল্ক আপাতত প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনা আমেরিকার নেই, সে কথাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘ভারত ২০২৪ সালে আমেরিকা থেকে ৪১৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। অন্য দিকে, ৮০০০ কোটি ডলারেরও বেশি পণ্য রপ্তানি করেছিল আমেরিকায়।

ঘটনাচক্রে, সোমবার দিল্লিকে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার বার্তা দিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। রবিবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। ভারতীয় সময় বেলা ১২টার কিছু পরে মোদী-পুতিন বৈঠক শুরু হয়। আর তার ঠিক আধ ঘণ্টা আগে, সাড়ে ১১টায় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর এই বার্তা ভারতের মার্কিন দূতাবাসের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। রুবিয়ো তাঁর বার্তায় জানিয়েছিলেন, ‘ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বোঝাপড়ার সম্পর্কের ভিত্তি বেশ মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী। আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে।’ অন্যদিকে, সমাজমাধ্যমে ভারতের মার্কিন দূতাবাসের পোস্টে বলা হয়েছে, ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক একবিংশ শতকে দৃষ্টান্তস্বরূপ।

Advertisement