১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল ইডির বিশেষ আদালত। ওই দিন জীবনকৃষ্ণকে সশরীরে আদালতে পেশ করতে হবে। শনিবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আইনজীবী জাকির হোসেন জীবনকৃষ্ণের জামিনের আর্জি জানাননি। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় থার্ড লাইনার এজেন্টেরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। অথচ আমার মক্কেলকে (জীবনকৃষ্ণ) আগেও আদালতে ডাকা হয়েছে।’
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গত ২৫ আগস্ট মুর্শিদাবাদের কান্দির আন্দিতে গ্রামের বাড়ি থেকে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে ইডি। ইডির হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় শনিবার ইডির বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র। পুত্রকে দেখে কেঁদে ফেলেন জীবন। এর আগে যখন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি, তখন সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাওয়ার খবর পেয়েও কেঁদে ফেলেন তৃণমূল বিধায়ক।
Advertisement
ইডির দাবি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা দিয়ে আলুর বন্ড কিনেছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর দাবি, পুরো টাকাই তাঁর ব্যবসার। কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। অন্যদিকে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪০ লক্ষের বেশি টাকা সংগ্রহ করেছেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁদের অধিকাংশই চাকরি পাননি।
Advertisement
ইতিমধ্যেই জীবনের স্ত্রী টগরী সাহা এবং পিসি মায়ারানি সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন জীবনকৃষ্ণ সাহা। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি। নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চলতি বছরের গত ২৫ আগস্ট তিনি ইডি-র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেদিন তাঁর বিরুদ্ধে মোবাইল ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে। যদিও এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময়ে জীবনকৃষ্ণ দাবি করেন, ‘আমি মোবাইল ছুড়িনি।’
Advertisement



