২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই গৃহীত হল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে সোমবার বিকেলে তিনি দলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরেই তা গ্রহণ করেছেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে লোকসভায় দলের নতুন মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বারাসতের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে।
পাশাপাশি কাকলির ছেড়ে যাওয়া পদ অর্থাৎ লোকসভার উপ দলনেতা বা ডেপুটি লিডার হলেন, বীরভূমের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এর আগেও দলনেত্রীর নির্দেশে লোকসভা থেকে মাঠে-ময়দানে একাধিক গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন সাংসদ কাকলি। সুতরাং, তাঁর কাছে এই নয়া পদের দায়িত্ব সামলানো খুব একটা কঠিন কাজ হবে না বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। নতুন দায়িত্বের জন্য সাংসদ কাকলি এবং শতাব্দীকে এক্স হ্যান্ডল পোস্টে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
Advertisement
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা ছিল, দীর্ঘদিনের অসুস্থতার কারণে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গাটি দেওয়া হল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ, সংসদের চলতি অধিবেশন থেকেই লোকসভায় তৃণমূলের নতুন দলনেতা হলেন ‘নবীন’ অভিষেক। এই ভার্চুয়াল বৈঠক শেষ হতেই লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে মহুয়ার সঙ্গে শ্রীরামপুরের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণের সাম্প্রতিক কাদা ছোড়াছুড়ি বিতর্কের জেরেই লোকসভায় দলের দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতি চেয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের বড় অংশের। কল্যাণের মূল আপত্তি, লোকসভায় দলের হয়ে যাবতীয় কাজ সামলান তিনি, অথচ কৃতিত্ব নিয়ে যান অপর এক সাংসদ! তাঁর অভিযোগের আঙ্গুল যে মহুয়ার দিকেই ছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি এদিনের বৈঠকে দলনেত্রী নিজেও নাম না করে উভয়কেই সংযত হওয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন। এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়
Advertisement
Advertisement



