কলকাতা ফুটবল লিগে ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস ও ইস্টবেঙ্গল আগামী শনিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে। ডার্বি ম্যাচের আগেই ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাসে চির ধরল। মঙ্গলবার বারাকপুর স্টেডিয়ামে দুরন্ত লড়াই করেও হার স্বীকার করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে ০-১ গোলে পাঠচক্রের কাছে। এই হারের ফলে লাল-হলুদ শিবিরের সমর্থকদের ঘুম উড়ে গেল। নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েও কোচ বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল বড় ধাক্কা খেল। পরপর দুটো ম্যাচে ড্র করার পরে জয়ের সরণিতে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে গেল। দিশাহীন ও ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে হারের মুখে পড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে। আর সেই জায়গায় পাঠচক্র টানা চারটি ম্যাচ জিতে লিগ টেবলে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাবের পরেই নাম লিখিয়ে ফেলল। অবশ্য ইউনাইটেড কলকাতা একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। তারা পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পেয়েছে। আর সেই জায়গায় পাঠচক্র চারটি ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
এদিকে, এই ম্যাচে যথেষ্ট নজর করলেন সদ্য মাতৃহারা মামনি পাঠচক্রের গোলরক্ষক অর্ণব দাস। দুদিন আগেই মা’কে হারিয়েছেন তিনি। তারপরেও থেমে থাকেনি তাঁর লড়াই। কোচ-কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই ম্যাচটায় প্রচন্ডভাবে মাঠে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শিমুরালির অর্ণব। সেই লক্ষ্যে সোমবার দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলনও করেন তিনি। তাঁকে বাধা দেননি কোচ পার্থ সেন। এদিন, ম্যাচের শেষদিকে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল লাল-হলুদ। কিন্তু, সেইসময় তিনকাঠির নিচে কার্যত দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন অর্ণব। তবে, শুধু এই ম্যাচেই নয় চলতি কলকাতা লিগের শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। চারটি ম্যাচ খেলে এখনও একটিও গোল খায়নি পাঠচক্র। নেপথ্যে, গোলরক্ষক অর্ণব দাসের বড় ভূমিকা। এখনও পর্যন্ত পাঠচক্রের গোলের জালে বল জড়াতে পারেনি কোনও প্রতিপক্ষ দল। চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয় তুলে নিয়েছে ডেভিড মতলা-অর্ণব দাসরা।
Advertisement
গত ম্যাচে কাস্টমসের বিরুদ্ধে শুরুতেই দু’গোলে পিছিয়ে গিয়ে কোনওক্রমে ড্র করেছিল তারা। এমনকি, ম্যাচের পর দলের জঘন্য ফুটবলের জন্য কোচ বিনো জর্জকে ক্ষমা চাইতেও দেখা যায় সমর্থকদের কাছে। তবে, সেই ম্যাচের শুরুতেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়া যে কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা ছিল না তা এই ম্যাচে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন পার্থ সেনের ছেলেরা। খে
লার ৮৭ মিনিটে লাল-হলুদের ফুটবলারদের বোঝাপড়ার অভাবকে কাজে লাগিয়ে পাঠচক্রকে এগিয়ে দেন ডেভিড মতলা। গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র এগিয়ে এলেও কোনওভাবেই পতন রোধ
করতে পারেননি।
Advertisement
Advertisement



