• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

গ্রেপ্তারির দিন সন্ধ্যায় ফার্ন রোডে কার সঙ্গে দেখা করেন অভিযুক্ত মনোজিৎ ও জাইব?

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’-এর পাঁচ সদস্য এই অপরাধের তদন্ত শুরু করেন। পরে আরও চারজন সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডের পরের দিন মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ ফার্ন রোডে কারও সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক অভিযুক্ত জাইব। গ্রেপ্তারির দিন এই দুই অভিযুক্ত ঠিক কার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তার উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তদন্তকারী দল সিটের ধারনা মনোজিৎ, জাইব এবং প্রমিতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলেই এর সদুত্তর মিলতে পারে।

এখন তদন্তভার গিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে। ইতিমধ্যে একাধিক সূত্রে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। ঘটনার পর একাধিকজনকে ফোন করেছিলেন ধৃতরা। তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নির্যাতিতা আইনের ছাত্রী অভিযোগ করেন, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল কলেজে। তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়, এমনকি কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’-এর পাঁচ সদস্য এই অপরাধের তদন্ত শুরু করেন। পরে আরও চারজন সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এখন ন’জন ‘সিট’ সদস্য এই ঘটনার তদন্ত করছেন। পুলিশ সূত্রে পাওয়া আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, ঘটনার ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা। এভাবে কয়েকদিনের মধ্যে ফের নির্যাতিতাকে ধর্ষণের ছক কষেছিল মনোজিৎ ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। ব্যাপারটি তাঁর সঙ্গীদের জানিয়েছিলেন মনোজিৎ।

তদন্তকারীরা তাঁদের তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলেও ঘটনার দিন ওই কয়েকঘণ্টায় ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই আইন কলেজ থেকে বেরনোর পর অভিযুক্তদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কী ছিল, তা এখনও অজানা রয়ে গিয়েছি। জানা গিয়েছে, ঘটনার সন্ধ্যায় বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ফার্ন রোডে কারও সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মনোজিৎ ও জাইব। কিন্তু সেই অদৃশ্য ব্যক্তিটি আসলে কে? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

Advertisement