মুর্শিদাবাদে ট্রেকার-ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৫ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তাঁরা কান্দি মহকুমা হাসপাতাল এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার সকালে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কে গোকর্ণ পাওয়ার হাউস মোড় সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে চারজন মহিলা এবং একজন গাড়ির ড্রাইভার রয়েছেন। মৃতদের নাম বেনু রানি সরকার (৪৫), শম্ভু সরকার (৪০), লালিতা সরকার (৫০)। বাকি দু’জনের নাম জানা যায়নি। মৃত এবং আহতদের সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর এলাকায়। পুলিশের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ট্রেকারের চালক মদ্যপ থাকার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
Advertisement
শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকার বিশারদগঞ্জ গ্রাম থেকে প্রায় ১৮ জন পুণ্যার্থী একটি দল ট্রেকার ভাড়া করে বীরভূমের একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। বহরমপুর-কান্দি রাজ্যসড়ক ধরে নিজেদের গ্রামে ফিরে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থীরা।
Advertisement
বহরমপুর-কান্দি রাজ্য সড়কের উপর মথুরা মোড়ের কাছাকাছি থাকাকালীন ট্রেকার ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পারের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ডাম্পারের চাকা পাংচার হয়ে যাওয়ার জন্য সেটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেকারটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে।
সংঘর্ষের জেরে ট্রেকারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় চার জন মহিলা এবং ওই ট্রেকার চালকের। পুলিশের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ট্রেকারের চালক মদ্যপ থাকার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা।
দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয় রাজ্য সড়কে। যানজটও হয় এলাকায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘ওঁরা পুণ্যস্নান করে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেকারে করে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকা একটি ডাম্পারের সঙ্গে ট্রেকারটির সংঘর্ষ হয়। ট্রেকারটি পুরো উল্টে গিয়েছিল। আমার চোখের সামনেই কয়েক জন মারা গেল! এখনও দৃশ্যটা ভুলতে পারছি না।’
Advertisement



