আহমেদাবাদে অভিশপ্ত বিমানের দুই পাইলটের মধ্যে ছিল বৈপরীত্য। একজন এই পেশাকে বেছে নিয়ে সবে জীবন শুরু করেছেন, অন্যজন পেশা থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। চেয়েছিলেন, উড়ান চালানোর চাকরি ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। তিনি বাবাকেও সেই ইচ্ছের কথা বলেছিলেন। আর সহকারী পাইলট চেয়েছিলেন আকাশপথে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে। একটি দুর্ঘটনা নিমেষে দুজনের জীবনপথ মৃত্যুর মাধ্যমে একটি রেখায় মিলিয়ে দিল।
এই দুই পাইলটের মধ্যে প্রধান ও বর্ষীয়ান পাইলট হলেন সুমিত সভরওয়াল এবং সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্দর। সুমিত সভরওয়াল মুম্বইয়ের পওয়াই এলাকার বাসিন্দা। সুমিতের বাবা ছিলেন ডিজিসিএ-র প্রাক্তন অধিকারিক। তাঁর দুই তুতোভাইও বিমানচালক। পরিবারের এতজনকে এই পেশায় দেখেই উড়ানের প্রতি আকৃষ্ট হন সুমিত। কঠোর পরিশ্রমের পর বেছে নেন পাইলটের পেশা। একাই ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এবার ডানা গোটানোর ভাবনা ভেবেছিলেন সুমিত সভরওয়াল। বাবাকে কথা দিয়েছিলেন, ‘এবার চাকরিটা ছেড়ে তোমার দেখভাল করব।’ কিন্তু সেই কথা রাখতে পারলেন না সুমিত।
Advertisement
আর সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্দর মুম্বইয়ের বোরিভেলির বাসিন্দা। ক্লাইভের জীবন হাসিখুশি ও প্রাণচঞ্চল। ক্লাইভের পরিবারও উড়ান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর মা ছিলেন কেবিন ক্রু। মুম্বইয়েই ক্লাইভের উড়ানের ট্রেনিং, তারপর পেশা শুরু করেন। ইতিমধ্যে ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তিনি। সহকর্মীদেরও বেশ পছন্দের ছিলেন তিনি। কিন্তু মৃত্যুর অভিশাপ ক্লাইভের জীবনদীপ নিভিয়ে দিল।
Advertisement
Advertisement



