• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিমানের মূল তথ্য সংগ্রহ ও উদ্ধারকাজ শেষ, এবার ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বিশেষ জায়গায়

ওই জমি ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বিমানের ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ সেখানে রেখেই বাকি তদন্তের কাজ চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

ফাইল চিত্র

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। বিমানের মূল তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন সেই সব সংগৃহীত তথ্য একজায়গায় করে বিশ্লেষণ করাই তদন্তকারীদের মূল উদ্দেশ্য।

পাশাপাশি ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানটিকে একটি বিশেষ জায়গায় দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেগুলি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে গুজরাত স্টেট অ্যাভিয়েশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি লিমিটেডের দপ্তরের সংলগ্ন জমিতে রাখা হবে। ওই জমি ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বিমানের ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ সেখানে রেখেই বাকি তদন্তের কাজ চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। আর এই দুর্ঘটনার তদন্তে এইসব উদ্ধার হওয়া তথ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ‘ব্ল্যাক বক্স’।

Advertisement

জানা গিয়েছে, উড়ানের ঠিক আগে বিমানের কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তাহলে টেক অফ-এর পরেই কেন বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ল? সেই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এখন তদন্তকারীরা শুধু ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ‘ব্ল্যাক বক্স’-এর সব তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ ছিল তা উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। আর এই ক্ষতিগ্রস্ত ‘ব্ল্যাক বক্স’-এর সম্পূর্ণ তথ্য উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

যদিও বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’ নিয়ে তদন্তকারীদের ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। কারণ সেটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তার মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্লেষণ করতে আমেরিকায় পাঠানো হতে পারে। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ‘ব্ল্যাক বক্স’টি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত যেটুকু তথ্য উদ্ধার হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। সেজন্য সেটি বিদেশে পাঠানো হতে পারে। যদিও এব্যাপারে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, বিমানের এই ‘ব্ল্যাক বক্স’-এ আদতে দুই ধরনের ডিভাইস থাকে। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) এবং অন্যটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কিন্তু তা থেকে এখনও দুর্ঘটনার আসল কারণ সংক্রান্ত কোনও তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেজন্য এই ‘ব্ল্যাক বক্স’টি ওয়াশিংটন ডিসি-র ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড বা এনটিএসবি-র কাছে পাঠানো হতে পারে। সবরকম সেফটি প্রটোকল মেনে চলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এই ‘ব্ল্যাক বক্স’টি এনটিএসবি-র কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন ভারতীয় আধিকারিক সঙ্গে থাকবেন।

Advertisement