সামনেই জামাইষষ্ঠী। তার আগে জামাইদের জন্য সুখবর। এবার জামাইদের পাতে স্থান পেতে পারে মায়ানমারের ইলিশ। এতদিন পদ্মার ইলিশ ছাড়া জামাইষষ্ঠী ভাবতে পারতেন না অনেকেই, কিন্তু এবার সেই সুযোগ নেই। সেই কারণেই কোচবিহারের মাছ ব্যবসায়ীরা মায়ানমার থেকে ইলিশ আনার পরিকল্পনা করেছেন। কোচবিহারের এক মাছ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রতিবছর এই সময়েই বাংলাদেশের ইলিশের অর্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু এবার রপ্তানি বন্ধ থাকায় মায়ানমার থেকে ইলিশ আনা হচ্ছে। আশা করি ক্রেতাদের তা পছন্দ হবে।
মায়ানমারের ইলিশ দামে বেশ সস্তা, প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। মায়ানমারের ইলিশের পাশাপাশি কোচবিহারের বাজারগুলিতে মজুত থাকছে রুই, কাতলা, গলদা চিংড়ি, পাবদা, পমফ্রেট, ভেটকির মতো রকমারি মাছ। জামাইষষ্ঠীর আগে দু’টন ইলিশ মাছ ঢুকবে শুধু ভবানীগঞ্জ বাজারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ভারতের স্থলপথে ইলিশ রপ্তানি আপাতত বন্ধ থাকায় কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে পদ্মার ইলিশের জোগান বন্ধ।
Advertisement
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, স্টোরে থাকা মাছের স্বাদ খুব একটা ভালো হচ্ছে না, দাম আকাশছোঁয়া। কেজি প্রতি ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। সেই কারণেই বিকল্প হিসেবে মায়ানমারের ইলিশের কথা ভাবা হচ্ছে। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ মৎস্য বাজার অ্যাসোসিয়েশনে সেক্রেটারি রাজেশ মোহন্ত বলেন, ‘প্রত্যেক বছর জামাই ষষ্ঠীর আগে আমরা বাংলাদেশের ইলিশ আনার অর্ডার দিয়ে রাখতাম। গত বছর থেকে ইলিশ আসা বন্ধ হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হয়েছে। এখানকার ডায়মন্ড হারবার ও কোলাঘাটের ইলিশ তো আছেই, এবার একটা বড় পরিমাণ ইলিশ ঢুকবে মায়ানমার থেকে। ফলে ইলিশের জোগান নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।’
Advertisement
Advertisement



