দিঘার মুখ্যমন্ত্রীর জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনকে সম্প্রীতির নিশান বলে অভিহিত করলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা দেব। মঙ্গলবার তিনি বলেন, দেশে যখন হিন্দু-মুসলিম রাজনীতির বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তখন দিঘার জগন্নাথধাম থেকে এই কঠিন সময়ে সম্প্রীতির নিশান উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পহেলগামে জঙ্গি হামলার আবহে দেবের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা।
প্রসঙ্গত মন্দির উদ্বোধনের আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিঘায় মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অতিথি-অভ্যাগতদের আগমন ঘটে। চা-চক্রকে কেন্দ্র করে দিঘার জগন্নাথধাম হয়ে ওঠে এক বর্ণময় মিলনমেলা। মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিদের এই চা-চক্রে ছিলেন বাংলা ও মুম্বইয়ের শিল্পীরা। ছিলেন কবি-সাহিত্যিক, বণিকসভা ও ময়দানের ক্রীড়াকর্তারাও।
Advertisement
আর সেই অনুষ্ঠানের শেষপর্বে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে উঠে অভিনেতা দেব বলেন, ‘সম্প্রীতির ঐতিহাসিক মিলনক্ষেত্র দিঘায় জগন্নাথধামকে সাক্ষী রেখে মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশকে বার্তা দিয়েছেন। আসলে দিঘায় এখন পর্যটনের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মিলন ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের সৈকতভূমিতে। বিভেদ উড়িয়ে বাংলা থেকে ফের সম্প্রীতির নিশান উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলা চিরকাল দেশকে পথ দেখিয়েছে, এবারও মুখ্যমন্ত্রী সেই পরম্পরা বজায় রেখেছেন।’
Advertisement
উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে পুরীর আচার মেনে দিঘায় জগন্নাথ দেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়। পরের দিন সোমবার থেকে পুজোপাঠ ও হোমযজ্ঞ শুরু হয়। জগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী আটচালা ঘর। পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন আসেন জগন্নাথদেবের সেবক। এছাড়া ইসকন থেকেও ১৭ জন সাধু তাতে শামিল হন। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় পৌঁছন।
তৃতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বিশ্ব শান্তির জন্য মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়। সেই যজ্ঞে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূ্র্ণাহুতি দেন। নিজের হাতে আরতিও করেন। বলেন, মা-মাটি- মানুষের জন্য পুজো দিয়েছেন। মমতার কথায়, “মা-মাটি-মানুষ ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকব।” চতুর্থ দিন অর্থাৎ বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ও জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে জেলা, রাজ্য, প্রতিবেশী রাজ্যের বহু পুণ্যার্থী যাবেন সৈকত শহর দিঘায়।
Advertisement



