রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের ইতিহাসে এই প্রথম খেলছে কেরল দল। কেরল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভের বিরুদ্ধে। বুধবার বিদর্ভ প্রথমেই ব্যাট করতে নামে। দিনের শেষে বিদর্ভ চার উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করেছে। তবে বিদর্ভ দলের তরুণ ক্রিকেটার দানিশ মালেবর দুরন্ত খেলে শতরান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। দিনের শেষে তিনি ১৩৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কয়েকদিন আগেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দানিশের অভিষেক হয়। আর সেই দানিশ এবারে রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে শিরোনামে উঠে এসেছেন। নকআউট পর্যায়ের খেলায় দানিশের ব্যাটিং দেখে সবাই মুগ্ধ। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় দানিশ অর্ধ শতরান করার কৃতিত্ব দেখান। আবার সেমিফাইনালেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে অর্ধশতরান। অর্থাৎ বলতেই পারা যায়, দানিশের ব্যাট যেন কথা বলে। আর ফাইনালে তাঁর ব্যাট জ্বলে উঠল। দানিশের সৌজন্যেই বিদর্ভ দল তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে পেরেছে। এদিন দানিশের ব্যাট থেকে শতরান এসেছে। তিনি ১২টি চার ও দু’টি ছক্কা মেরেছেন।
Advertisement
অবশ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দানিশের এটিই প্রথম শতরান নয়। তিনি গুজরাতের বিরুদ্ধে নাগপুরে গত ১৩ নভেম্বর শতরান করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবে দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন দানিশ। কেরলের বিরুদ্ধে বিদর্ভ খেলছে তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বিদর্ভ দল দাপটের সঙ্গে খেলতে পারবেন কিনা, কিন্তু দানিশ দেখিয়ে দিলেন, বিপক্ষ দলের বোলারদের বিরুদ্ধে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। আসলে যে কোনও ব্যাটসম্যান যদি সাহসী ভূমিকা নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে, তাহলে খুব সহজেই বোলাররা ভয় দেখাতে পারেন না। তরুণ ক্রিকেটার দানিশ তা করে দেখালেন। কেরল দলের অধিনায়ক শচিন বেবি টসে জিতে ব্যাটিং করতে পাঠায় বিদর্ভকে। ৬.৩ ওভারে বিদর্ভকে দুটো উইকেট হারাতে হয়। ওপেনার পার্থ কোনও রানই করতে পারেননি। এরপরেই দর্শন নালকান্ডের উইকেটটি তুলে দেন ইডেন অ্যাপেল টম। তারপরেই ব্যাট করতে আসেন দানিশ। তিনি জুটি বাঁধেন ধ্রুব শোরের সঙ্গে। কিন্তু ধ্রুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। তারপরে দানিশ ও নায়ারে জুটি দেখে খেলতে থাকেন। যার ফলে বিদর্ভ দল ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে। দানিশ ২৫৯ বলে ১৩৮ রান করে উইকেটে রয়েছেন।
Advertisement
Advertisement



