ভারতের ভোটে মার্কিন অনুদান নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কংগ্রেসকে তুলোধোনা করে গেরুয়া শিবিরের দাবি, মোদীকে হারানোর জন্য বিদেশি অনুদান নিয়েছিল কংগ্রেস। পাশাপাশি শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। গোটা বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতর খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
মার্কিন অনুদানের বিতর্কের শুরু বুধবার ট্রাম্পের একটি ঘোষণার পর। সেই ঘোষণায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ‘কেন আমরা ভারতে ভোটদানের হার বৃদ্ধি করতে ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার খরচ করব? আমার অনুমান, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।’ মোদীর প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ভারত এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাই বলে ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার!’
Advertisement
নব নিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভারত সহ গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় জোর বিতর্ক। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, তবে বাইডেন প্রশাসন ভারতের নির্বাচনে নাক গলিয়েছিল?
Advertisement
এই বিষয়ে শুক্রবার সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনের সময় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারত সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’ তিনি আরও জানান, ‘পুরো বিষয়টি যাচাই না করে জনসমক্ষে মন্তব্য করা অনুচিত।’
ট্রাম্পের এ হেন মন্তব্যের পর থেকেই কংগ্রেসকে দুষতে শুরু করে বিজেপি শিবির। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ‘বিদেশি সংস্থার হাতিয়ার’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্য এটাই নিশ্চিত করে যে ভারতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়া অন্য কাউকে বসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। অবশ্য এর জবাব দিতে দেরি করেনি হাত শিবির। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কংগ্রেস দাবি করে যে, সরকারের উচিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যাতে ভারতের সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানকে ইউএসএআইডি-র বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়।
Advertisement



