কথায় বলে পেয়ালা আর ঠোঁটের মধ্যে বরাবর একটা ফারাক থাকে। কথাটা যে কত সত্যি তা প্রমাণ করে দিল এসি মিলান। সকলের চোখে ফেবারিট ছিল ইন্টার মিলান। টানা তিনবার সুপারকোপা ও ইতালিয়ান সুপার কাপের মতো টুর্নামেন্ট জিতেছে। তাছাড়া বর্তমান পারফরম্যান্সের নিরিখে ইন্টার মিলানকে কোনওভাবে খাটো করে দেখা সম্ভব নয়। সেই ইন্টারকে কিনা হারিয়ে মিলান ডার্বিতে বাজিমাত করল এসি মিলান। তাও আবার কিনা ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর।
বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক আগে লাওতারো মার্টিনেজ গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন ইন্টারকে। বিরতির পরেই ফের গোল করে ইন্টারের সমর্থকদের মনে জয়ের জোয়ার এনে দিয়েছিলেন মেহদি তেরেমি। সবকিছু তখন ঠিকঠাক চলছিল। তারপরেই ঘটল ছন্দপতন। এসি মিলানের হয়ে ৫২ মিনিটে থিও এর্নান্দেজ গোল করতেই দলের মধ্যে সেই জড়তা আর থাকল না। গোল করার গন্ধ তখন পেতে শুরু করেছে পুরো দল। তবে গোল হচ্ছিল না। সেই কাঙ্খিত গোলটি এল ৮০ মিনিটে। ক্রিস্টিয়ান পুলিশিচ গোল করে দলকে সমতায় (২-২) ফিরিয়ে আনলেন। ব্যস, তারপর আর এসি মিলানকে পায় কে!
Advertisement
সকলে তখন জয়ের স্বপ্নে মশগুল। অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পরিবর্ত হিসেবে নামা ট্যামি আব্রাহাম গোল করে এসি মিলানের ঘরে ৮ বছর পর সুপার কাপ এনে দিলেন। তারচেয়েও বড় কথা, কোচ হিসেবে এসি মিলানের সমর্থকদের মন জয় করে নিলেন সের্জিও কনসেইসাও। মাত্র দুটো ম্যাচ তিনি পেলেন দলকে কোচিং করানোর। আর তার মধ্যে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে ছিলেন জুভেন্তাসকে।
Advertisement
পরে হারালেন ইন্টার মিলানকে। তাই জয়ের পর নিজস্ব অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে কনসেইসাও বলেন, “দেখুন মাত্র দুটো ম্যাচ পেয়েছি এই দলকে কোচিং করানোর। যখন এই দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন মোটেই পরিবেশ অনুকূল ছিল না। দলের মধ্যে একটা ছন্নছাড়া মনোভাব সকলের মধ্যে দেখতে পেয়েছিলাম। অথচ দুটো শীর্ষস্তরের দলকে হারিয়ে আমরা বোঝাতে পেরেছি, কেউ আমাদের আর ছোট করে যেন না ভাবে। এখন জয়ের আনন্দে গোটা দল ভেসে যাবে। আমিও হব তার সঙ্গী। কাল থেকে ফের শুরু হবে পরবর্তী ম্যাচের প্রস্তুতি।”
Advertisement



