ত্রিপুরা থেকে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার বিকেলে আগরতলা স্টেশন থেকে তাঁদের পাকড়াও করা হয়। আগরতলা থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় আসার ছক কষেছিল ধৃতরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন – ছোটন দাস (১৯), বিষ্ণুচন্দ্র দাস (২০) এবং মহম্মদ মালিক (৩০)। তাঁরা নোয়াখালি এবং হাবিগঞ্জের বাসিন্দা।
কয়েক বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। এরপর আগরতলা রেল পুলিশ, আরপিএফ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সম্মিলিতভাবে অভিযানে নামে। আগরতলা স্টেশনে ওই তিনজনকে ইতস্তত ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। ওই তিনজনের কাছে ভারতের প্রবেশের কোনও নথিও পাওয়া যায়নি।
Advertisement
তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ওই তিনজন ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। ভারতে প্রবেশের কোনও বৈধ নথিপত্র দেখাতে না পারার কারণে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, আগরতলা থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় আসার পরিকল্পনা ছিল অনুপ্রবেশকারীদের। সোমবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়। এদিকে অসমেও ঢোকার চেষ্টা করেছিল ৬ বাংলাদেশি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, তাঁদের আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
এদিকে মহারাষ্ট্রের থানে থেকেও এক মহিলা-সহ আট বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাঁরা কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ দিনমজুর, আবার কেউ জলের পাইপ সারানোর কাজ করতেন। কারও কাছে ভারতে বসবাসেরর ছাড়পত্র ছিল না।
Advertisement



