• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

শিশুপাচার রোধে পূর্ব রেলওয়ের আরপিএফের সক্রিয় ভূমিকা

পূর্ব রেলের আরপিএফ টিম ২০২৪ সালের ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩টি বাচ্চাকে হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের জাল থেকে উদ্ধার করেছে।

রেল সুরক্ষা বাহিনী, পূর্ব রেলওয়ে। ছবি: ইন্টারনেট।

পূর্ব রেল তাদের প্রত্যেকটি যাত্রীর সেফটি এবং সিকিউরিটির ব্যাপারে সর্বদাই তৎপর, তাই পূর্ব রেলের আরপিএফ টিম সর্বদাই সজাগ থাকে। ফলস্বরূপ হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের একটি নতুন প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রধানত অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের মাধ্যমে হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের ঘটনা ঘটছে। রেলওয়ের আরপিএফ টিম অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে যে কিছু অল্প বয়সী ছেলেমেয়ে একা একা ট্রেনে ভ্রমণ করছে, এক্ষেত্রে দেখা যায় সেই ছেলেমেয়েগুলি তাদের নিজেদের বয়সও গোপন করছে।

এদের মধ্যে কেউ কেউ বলে যে তাদের ক্যাটারিং বা বিউটি পার্লারের কাজের জন্য মামা বা মাসিরা মুম্বই নিয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি। অনুসন্ধান যখন আরও গভীরে পৌঁছয় তখন বোঝা যায় যে ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যারা বাচ্চাগুলিকে ভুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আরপিএফের জেরার সময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এইসমস্ত হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের ঘটনাগুলিতে দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চাগুলিকে সিরিয়াল বা সিনেমাতে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুম্বই বা অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

এমনই একটি জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন মুনমুন ঘোষ (নাম পরিবর্তিত) নামে এক কিশোরী স্বীকার করে যে তাকে প্রলোভন দেখিয়ে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পূর্ব রেলের আরপিএফ টিম জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানতে পারে যে, মেয়েটির বাড়ি মসলন্দপুর (স্থান পরিবর্তিত) এলাকায়। এর সঙ্গে আরও ৫ জন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে, সন্দেহভাজন তিন পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সেকশন 143 (iv) (v)/144/111 BNS এবং 75/79 জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট এবং শিশুশ্রম নিষিদ্ধকরণ আইনের ধারা ১৪-এর অধীনে জিআরপি-তে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিন কিশোরীকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে (সিডব্লিউসি) পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পূর্ব রেলের আরপিএফ টিম ২০২৪ সালের ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩টি বাচ্চাকে হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের জাল থেকে উদ্ধার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে সমাজে এই ধরনের অপরাধ যে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেগুলি প্রতিরোধ করার জন্যে রেলওয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রত্যেক যাত্রীর সেফটি এবং সিকিউরিটির ব্যাপারে পূর্ব রেল সর্বদাই তৎপর।

Advertisement