কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কালীপুজোয় শুধুমাত্র সবুজ বাজি ফাটাতে হবে। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। এমনকি কালীপুজোর দিন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় বাজি ফাটানোর। সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদারে চলে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো। ঘটনায় কালীপুজোর রাতেই গ্রেপ্তার একাধিক ব্যক্তি।
নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার, কালীপুজোর দিন রাত ৮টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় ৩৩ জনকে। তবে রাত ১২টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯২-এ। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভব্য আচরণের জন্য। বাকি ১১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর জন্য। শুধুমাত্র গ্রেপ্তারি নয়, কালীপুজোর রাতেও বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫১৯.৭ কিলো নিষিদ্ধ বাজি।
Advertisement
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, দীপাবলির রাতে শুধুমাত্র ৮টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে দেখা যায় নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দেদারে চলছে বাজি ফাটানো। সবুজ বাজি ছাড়াও দেখা যায় দেদারে চলছে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো।
Advertisement
প্রতিবছরের মতো এবছরও কলকাতার বিভিন্ন আবাসন থেকে শুরু করে বড় রাস্তা, বিভিন্ন এলাকাতে সময়সীমার পরও দেদারে বাজি ফাটানো হয়। তবে এবার পুলিশি নজরদারি ছিল কড়া।
চলতি বছর, কালীপুজোর আগেই প্রায় চার হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি, নিষিদ্ধ বাজি মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ৩৫ জনকে।
Advertisement



