ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত এবারের ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিজেরা উপস্থিত না থাকলেও ব্রাজিলে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে রাশিয়া ও চিন। দু’টি শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সম্মেলনে না থাকায় ব্রিকসে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুরুত্ব কেমন হয় সেদিকে নজর রাখছেন অনেকেই। প্রথমে ব্রিকস গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। পরে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ইরান ব্রিকস গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং কেন ব্রিকসের সম্মেলন যোগ দিতে ব্রাজিলে গেলেন না, তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও নিজে যেতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যে দিয়ে ব্রিকসের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে সশরীরে ব্রাজিলে যেতে পারবেন না পুতিন। কেননা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ হল ব্রাজিল। ওই আদালতের নিয়ম অনুযায়ী ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার অপরাধে ব্রাজিলে পা রাখলেই গ্রেপ্তার হতে হবে পুতিনকে। এ কারণেই গর বছরও দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং কেন এবারের ব্রাজিলের ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিলেন না সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। বেজিংয়ের তরফে প্রতিনিধি হিসেবে ব্রাজিলে পাঠানো হয়েছে সে দেশের দেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংকে। গত ১২ বছর টানা ব্রিকসের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জিনপিং। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেজিংয়ে দিনকে দিন গুরুত্ব হারাচ্ছেন শি জিনপিং। সে কারণেই ব্রিকসে চিনের প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
জিনপিং এবং পুতিন দুই শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে ব্রিকসের সম্মেলন গুরুত্ব হারাবে বলেই মনে করছে অনেকে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। পুতিনের না থাকার কারণেই আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়ার অবস্থান কিছুটা হলেও দুর্বল হয়েছে। এর ফলে ব্রিকসের মঞ্চে ভারত বাড়তি সুবিধে পেতে পাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ ভারতে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির প্রসঙ্গ ব্রিকসের সম্মেলনে তুলতে পারেন মোদী। পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৫ ভারতীয়র মৃত্যু নিয়েও অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মোদী। পাশাপাশি, ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়েও ব্রিকসের মঞ্চে ভারতের তরফে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।