সন্ত্রাসবাদের আঁতুর ঘর পাকিস্তান তাঁদের দেশের সাধারণ মানুষ আর জঙ্গিদের মধ্যে সবসময় জঙ্গিদের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে। অপরেশন সিঁদুর করে ভারত যখন একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ও বহু জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে তখন সেই সব ‘জঙ্গি’দের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন একাধিক পাক অফিসার, সেনা ও পুলিশের শীর্ষকর্তারা। এবার সেই সব সেনা ও পুলিশের শীর্ষকর্তাদের নাম ও পরিচয় ঘোষণা করল ভারত সরকার। তালিকায় রয়েছেন পাক সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়াজ হোসেন শাহ। তিনি লাহৌরের আইভি কর্পসের কমান্ডার। মেজর জেনারেল রাও ইমরান সরতাজ, লাহৌরের ১১তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত।
এ ছাড়া আছেন ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ফুরকান শাব্বির, পঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল উসমান আনোয়ার এবং পঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য মালিক শোয়েব আহমেদ ভের্থ। ভারত যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে লশকর-এ-ত্যায়বা জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রাউফকে। আমেরিকার তৈরি সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় বিশেষ ভাবে চিহ্নিত ছিল তার নাম। লশকর-এ-ত্যায়বার হাফিজ় সইদ যে ভারতের ২৬\১১ মুম্বাই হামলার অন্যতম মাথা সেও এই জঙ্গিদের শেষ কর্মে উপস্থিত ছিল। ‘জঙ্গি’দের দেহ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ছবিতে লশকর জঙ্গি আব্দুলকেই ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে। তার পিছনে পাক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করে ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা। হাফিজই পাকিস্তানে জামাত-উদ-দাওয়া নামের আর একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরি করে।
ভারতের দাবি, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিহত সেই সংগঠনের তিন জঙ্গি। তাদেরই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল মুরিদকেতে। নিহতেরা হল কারি আব্দুল মালিক, খালিদ এবং মুদাস্সির।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে তারা কোনও ধরণের সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয় না বা মদত দেয় না, তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শেয়ার করা ছবি অনুসারে, অনেক পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন। এর আগে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিহত জঙ্গিদের কফিনের পিছনে প্রার্থনারত পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশ সদস্যদের উর্দি পরিহিত একটি ছবি তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন যে এই ছবিটি কী বার্তা দেয়।