আমেরিকানদের ইরান ভ্রমণে মানা হোয়াইট হাউসের। ট্রাম্প সরকারের বিদেশ মন্ত্রক এ নিয়ে জারি করেছে এক নির্দেশিকা। সেখানে বলা হয়েছে, ইরান ভ্রমণের ব্যাপারে আমেরিকানদের সতর্ক করা হচ্ছে। কেননা বোমা হামলা বন্ধ হলেও মার্কিনিদের জন্য এ মুহূর্তে ইরান ভ্রমণ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণেই দেশের নাগরিকদের ইরানে যেতে নিষেধ করছে ট্রাম্পের প্রশাসন।
এখন ইরান ভ্রমণ নিরাপদ নয় এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ওয়াশিংটন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বোমা হামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে মানে এই নয় যে, এখন ইরানে ভ্রমণ নিরাপদ।’ এদিকে এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন আমেরিকা-ইরান দ্বৈত নাগরিকত্বপ্রাপকরা। যাদের প্রায়ই ইরান ও আমেরিকায় যাতায়াত করতে হয় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তারা। হোয়াইট হাউসের তরফে তাদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন মনে করছে, ইরান দ্বৈত নাগরিকত্বে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। বরং তারা আমেরিকানদের ইরানে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। পাশাপাশি ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছে, সম্প্রতি আমেরিকানদের ইরানে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে ইরান সরকার। এসব কারণে খতিয়ে দেখেই আমেরিকানদের ইরানে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্পের সরকার।
কিছুদিন আগে, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। বেঞ্জামিন নেতিনেয়াহুর প্রশাসন মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় ইরানে।
ইজরায়েলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলিকে ধ্বংস করা। যদিও ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের সেনাকর্তা ও কয়েকজন বিজ্ঞানী। চুপ করে থাকেনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ইরান পাল্টা হামলা চালায় ইজরায়েলে। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে গিয়ে ইরানের উপর হামলা চালায় আমেরিকা। পাল্টা হামলায় কাতারের দোহার কাছে মার্কিন সামরিকঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইরান সেনারা। এরপর ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ থেমে গিয়েছে। ঘটনার মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকানদের ইরান যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল হোয়াইট হাউস।