রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোন করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্রের দাবি, শুক্রবার আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা জেলেনস্কিকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ফোনালাপের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, সোমবার তিনি ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের জন্য।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শুধু জেলেনস্কিই নয়, পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর ইউরোপের তিন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জকেও ফোন করেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে কথা বলেন নেটো-র সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েনের সঙ্গে। ইউরোপিয়ান কমিশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের মূল বিষয় সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ট্রাম্প।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পর থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। এর আগে একাধিক বার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি, ফোনে কথা বলেছেন পুতিনের সঙ্গেও। গত শুক্রবার আলাস্কায় দুই রাষ্ট্রনেতার এই বৈঠক ছিল মুখোমুখি, প্রায় পাঁচ বছর পর। যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হননি তাঁরা। শুধু নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। উভয়েই বৈঠককে ‘ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করলেও ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট সমাধানে পৌঁছনো যায়নি।
Advertisement
এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপর। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেন, তার উপরেই নির্ভর করছে সবকিছু। ট্রাম্প এ-ও জানান, জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনের বৈঠকে তিনি থাকতে পারেন, যদি উভয় পক্ষ রাজি থাকেন। এই আবহেই সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক যে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
Advertisement



