গাজা কিংবা ইউক্রেনের মতো নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ দ্বন্দ্ব মেটাতে নারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তান নিজেরাই কোনও না কোনও ভাবে এই সমস্যার সমাধান করবে।’ এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে এই বিষয়ে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই কথোপকথনেও জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করে ট্রাম্প ভারতকে সমর্থন করার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তুলসী গ্যাবার্ডও। সন্ত্রাস দমনে ভারতকে সাহায্য করার কথা বলেন তিনি। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকও ভারতের পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে রোমে যাওয়ার পথে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘একটি খারাপ ঘটনা ঘটেছে। দুই নেতাকেই আমি দীর্ঘ দিন ধরে চিনি। আপনারা জানেন, আমি ভারতের খুব কাছের। আমি পাকিস্তানেরও খুব কাছের। কাশ্মীর নিয়ে তারা হাজার বছর ধরে সেই লড়াই চালিয়ে আসছে। সম্ভবত তার চেয়েও বেশি সময় ধরে।’
ট্রাম্পের মতে, কাশ্মীরের সীমান্তের সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও তাঁর বিশ্বাস দুই দেশ একটা পথ বের করবেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি উভয় নেতাকেই জানি, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা রয়েছে, কিন্তু এটা সবসময়ই ছিল। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা কোনও না কোনওভাবে এর সমাধান করবেন।’ সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ইজরায়েলি হামলা এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব মেটাতে তিনি নারাজ।
পহেলগামের ঘটনার পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন। আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডও জানিয়েছেন, পহেলগামের ঘাতকদের সন্ধানে ভারতকে সাহায্য করতে আমেরিকা প্রস্তুত।
মঙ্গলবার পহেলগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং এক জন নেপালি নাগরিক রয়েছেন। তারপর থেকেই ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। বারবার গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ওপার থেকে। উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। ভারতের কূটনৈতিক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তানের তরফেও একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।