• facebook
  • twitter
Sunday, 22 June, 2025

ইউক্রেনের হাসপাতালে হামলা রুশ ড্রোনের, প্রত্যাঘাতের আতঙ্কে রাশিয়া

রাশিয়া রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে ৪৭৯টি ড্রোন ছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

ইউক্রেনের উপর ফের ড্রোন হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। কিভের দাবি, সোমবার রাতে ওডেসা শহরের একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রুশ বোমারু ড্রোন আছড়ে পড়ছে। এদিকে রাশিয়ার পাল্টা দাবি, সোমবার থেকে তাদের উপর ড্রোন হানা শুরু করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের ড্রোন হানার ভয়ে সাময়িক ভাবে মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ায়। মস্কোর বক্তব্য, সোমবার রাতে দু’ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের ৭৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা।

ওডেসা শহরের গভর্নর ওলেহ কিপার জানিয়েছেন, তাঁর শহরে ‘বড়সড়’ ড্রোন হামলা হয়েছে। শহরের একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং প্রসূতি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও হাসপাতালে ড্রোন হানায় কারও মৃত্যু হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওলেহ কিপার। যদিও সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলার অভিযোগ নিয়ে মস্কোর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, রাশিয়া রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে ৪৭৯টি ড্রোন ছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৭৭টি ড্রোন এবং ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্রকে সফলভাবে ধ্বংস করেছে। মাত্র ১০টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এতে একজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় ভুগছে রাশিয়া।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় চারটি প্রধান বিমানবন্দর রয়েছে। রুশ অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়া মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, ওই চারটি বিমানবন্দরেই পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউক্রেনের ড্রোন হানার কথা জানার পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ফের কবে পরিষেবা চালু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন পাঠিয়েছে ইউক্রেন। অন্তত ৪০টি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই হামলায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে দু’দফায় শান্তি আলোচনা হয়। তবে তাতে বন্দিদের বিনিময়ের পাশাপাশি হাজার হাজার মৃত এবং গুরুতর আহত সৈন্য বিনিময়ের প্রতিশ্রুতির বাইরে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, শর্ত পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।