• facebook
  • twitter
Saturday, 13 December, 2025

৩ দেশে বাড়তি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প 

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ এবং চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই ওই তিন দেশ থেকে আমেরিকায় ঢোকা পণ্যের উপর এই আমদানি শুল্ক বসাতে চান তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই তালিকায় নাম নেই ভারতের। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে এই পদক্ষেপ করা হবে বলে ট্রাম্প জানান।  

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ এবং চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই ওই তিন দেশ থেকে আমেরিকায় ঢোকা পণ্যের উপর এই আমদানি শুল্ক বসাতে চান তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই তালিকায় নাম নেই ভারতের। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে এই পদক্ষেপ করা হবে বলে ট্রাম্প জানান।

সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘২০ জানুয়ারি প্রথম যে নির্দেশগুলি দেব, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমেরিকায় আসা সমস্ত পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপানো। তার জন্য প্রয়োজনীয় সব নথিতেও স্বাক্ষর করব।’ চিনকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। চিন থেকে আমদানি করা পণ্যে সর্বোচ্চ শুল্কের পরিমাণ ৩৫ শতাংশও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, চিনের সরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত সিনথেটিক ওপিওড ফেন্টানিল মাদক পাচার বন্ধ না করবে , ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।  ট্রাম্পের  অভিযোগ, চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে ।
এছাড়াও মেক্সিকো  এবং কানাডা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তাদের উপর বাড়তি শুল্ক বহাল থাকবে বলেও ট্রাম্প জানান।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরে কানাডার তরফে পাল্টা কিছু বলা না-হলেও মেক্সিকোর তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমেরিকার অন্যতম বড় বাণিজ্যসঙ্গী তারাই। অন্য দিকে, চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, “চিন দুই দেশের মধ্যে নিবিড় অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে আস্থা রাখে। শুল্ক-যুদ্ধে আসলে কোনও পক্ষই জয়ী হবে না।” প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতিকে তুলে ধরতে আমেরিকায় আমদানি করা কমবেশি সব পণ্যেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন।

Advertisement

Advertisement