• facebook
  • twitter
Tuesday, 29 April, 2025

নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীলা রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন পদে নিজের লোক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেনা থেকে পুলিশ, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ।

ফাইল চিত্র

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ‘বৈচিত্র্য, সাম্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ডিআই বিভাগের প্রধান  ভারতীয় বংশদ্ভূত নীলা রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্চ মাসে ডিইআই বিভাগ বাতিল করার নির্দেশে দেন। তার পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মহাকাশ সংস্থাটি রাজেন্দ্রকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। তাঁর কর্মক্ষেত্রের শিরোনাম পরিবর্তন করে ‘হেড অফ অফিস অফ টিম এক্সিলেন্স অ্যান্ড এমপ্লয়ি সাকসেস’ করেও ব্যর্থ হয়। ক্ষমতায় এসেই মার্কিন প্রশাসনে ইচ্ছেমতো বদল ঘটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।সংস্থার প্রধান পরিচালক লরি লেশিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘নীলা রাজেন্দ্র আর জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে কাজ করছেন না। আমাদের প্রতিষ্ঠান তাঁর অবদানের জন্য বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা তাঁর মঙ্গল কামনা করছি।’
চ্যাপেল হিলের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সঙ্গীতে স্নাতক নীলা রাজেন্দ্র ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ বিজনেস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৮ সালে এটি শেষ করেন।
২০১৩ সালে ক্লেয়ারমন্ট ম্যাককেনা কলেজের ক্রাভিস লিডারশিপ ইনস্টিটিউটে অধিকর্তার পদ গ্রহণের আগে নীলা রাজেন্দ্র কয়েকটি সংস্থায় কাজ করেছিলেন। তিনি ডিজাইন ডিরেক্টর, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সায়েন্স অফ ডাইভারসিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন ইনিশিয়েটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার আগে প্রায় চার বছর সেখানে কাজ করেছিলেন ।

২০২১ সালে রাজেন্দ্র নাসায় চিফ ডাইভারসিটি, ইক্যুইটি এবং ইনক্লুশন আধিকারিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।তাঁর অন্যতম প্রধান প্রকল্প ছিল ‘স্পেস ওয়ার্কফোর্স ২০৩০’, যার লক্ষ্য ছিল নাসায় কাজ করার জন্য আরও বেশি মহিলা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে নিয়োগ করা।

২০২৫ সালের মার্চ মাসে, তিনি চিফ টিম এক্সেলেন্স এবং সফল কর্মচারী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ শুরু করেন। তাঁর ভূমিকা ছিল প্রতিটি কর্মচারীর বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলা, যার মাধ্যমে দলের উৎকর্ষতা বাড়ে।

ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন পদে নিজের লোক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেনা থেকে পুলিশ, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। জন ব়্যাটক্লিফকে বসানো হয়েছে সিআইএ-র মাথায়। মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসে বরাবর নতুন প্রেসিডেন্ট নিজের পছন্দ মতো শীর্ষকর্তা বেছে নিয়েছেন। তবে নাসার মতো সংস্থায় হস্তক্ষেপকে ট্রাম্পের আগ্রাসন হিসাবে দেখছেন সেদেশের একাংশ।