ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে ১৬ জন নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ভােররাতে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত একশােরও বেশি।

Written by Basudeb Dhar Dhaka | November 13, 2019 12:12 pm

সােমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তুর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। (Photo: IANS)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ভােররাতে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত একশােরও বেশি। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সােমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তুর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সিলেট থেকে ছেড়ে উদয়ন এক্সপ্রেস যাচ্ছিল চট্টগ্রামে। আর তুর্ণা নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে আসছিল ঢাকায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দশ জনের মৃত্যু হয়। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ছয় জন মারা যায়। আহত যাত্রীদের কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহান জানান, তুর্ণা নিশীথার চালকের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। মন্দবাগে দুই ট্রেনের ক্রসিং হচ্ছিল। সিগন্যাল পেয়ে উদয়ন মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে প্রবেশ করছিল। ট্রেনের নয়টি বগি লুপ লাইনে চলে যাওয়ার পর দশম বগিতে আঘাত করে তুর্ণা নিশীথা। ওই ট্রেনের লােকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি। প্রাথমিক তদন্তের পর তাকে সহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সংঘর্ষের পর তুর্ণা নিশীথার একাধিক বগি উদয়নের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এর মধ্যে দুটি বগি ভীষণভাবে দুমড়েমুচড়ে যায়। সেখানে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা।

দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এছাড়া নিহতদের মরদেহ দাফনে সহযােগিতার জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক জানিয়েছে।

রেলওয়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে প্রায় আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।