ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলে ইসলামি ঐক্য সংগঠনের ৫১-তম অধিবেশন বসতে চলেছে। পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মোট ৫৭টি সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রীরা এই অধিবেশনে অংশ নেবেন। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচিও অধিবেশনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের বিদেশ মন্ত্রক। এই সংগঠনের বিদেশমন্ত্রীদের পরিষদীয় বৈঠকের নেতৃত্বে থাকছেন তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদান। বৃহস্পতিবার তুরস্কের সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ইজরায়েলের হিংসাত্মক কাজের নিন্দা করে যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণের ডাক দিতে পারেন ফিদান। কারণ, এবারে বৈঠকের বিষয়বস্তুই হচ্ছে, ‘পরিবর্তিত পৃথিবী’। শনি ও রবিবার দু’দিনব্যাপী অধিবেশন চলবে।
মনে করা হচ্ছে, এই অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ইরানি বিদেশমন্ত্রী বাকি সদস্যভুক্ত দেশগুলির কাছে সামরিক, আর্থিক, রাজনৈতিক সাহায্য দাবি করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব গৃহীত হলে সমস্যায় পড়তে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগান এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে । বস্তুত, এই অধিবেশনের অধিকাংশটাই জুড়ে থাকবে ইসলামি রাষ্ট্রের উপর ইহুদিদের অন্যায় আক্রমণের মতো বিষয়। মনে করা হচ্ছে এই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে লাভবান হবে ইরানই। ফলে ইসলামি ঐক্য সংগঠনের এই অধিবেশন ইরানের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
Advertisement
ইসলামি ঐক্য সংগঠন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তঃরাষ্ট্র সংস্থা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরেই এর স্থান। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে হামলার পর ১৯৬৯ সালে গঠিত হয় ওআইসি । এর প্রধান লক্ষ্য হল- মুসলিম দুনিয়াকে সুরক্ষা দেওয়া। আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতি বজায় রেখে বিভিন্ন সদস্যবুক্ত রাষ্ট্রগুলির একে অপরকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকার বদ্ধ থাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের দিক থেকে চেষ্টা থাকবে মুসলিম দেশগুলির সমর্থন আদায় করা।
Advertisement
অন্যদিকে, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জা
Advertisement



