• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

গাজায় অপুষ্টিতে মৃত্যু অন্তত ৬৬ শিশুর, উদ্বেগপ্রকাশ ইউনিসেফের

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু অপুষ্টিতেই অন্তত ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল কেন এই বিষয়ে নীরব, সেই প্রশ্ন তুলেছে গাজা।

থালা হাতে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে গাজাবাসী। অভিযোগ, ইজরায়েলের ‘অবরোধ’ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে সামগ্রিক ব্যবস্থা। খাবার তো নেই-ই, মিলছে না ওষুধ-প্রয়োজনীয় পণ্যও। গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু অপুষ্টিতেই অন্তত ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল কেন এই বিষয়ে নীরব, সেই প্রশ্ন তুলেছে গাজা।

গাজা প্রশাসনের দাবি, গাজায় শৈশবকে শেষ করতে চায় ইজরায়েল। সেই জন্যই ‘অবরোধ’ জারি রেখেছে তারা। গাজার সরকারি জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিপর্যয়ের’ জন্য শুধু ইজরায়েল নয়, দায়ী তার বন্ধু আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলিও। এই বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ এবং অবিলম্বে গাজায় ইজরায়েলি ‘অবরোধ’ তুলে দিয়ে পণ্য প্রবেশের পথ প্রশস্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গাজায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ‘আশঙ্কাজনক হারে’ বাড়ছে, ইউনিসেফ একথা জানিয়ে সতর্ক করার দু’দিন পর গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হল। ইউনিসেফ জানিয়েছিল, শুধু মে মাসেই গাজার ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অন্তত ৫১১৯ জন শিশুকে তীব্র অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে এপ্রিলে গাজার তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা ৩৪৪৪ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

ইউনিসেফ জানায়, এক মাসের ব্যবধানে গাজায় তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক এদুআর বেগ্বেদেয়ার বলেছেন, ‘গাজা ভূখণ্ডে চলতি বছরের শুরু থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত, মাত্র ১৫০ দিনে ১৬৭৩৬ জন (গড়ে প্রতিদিন ১১২ জন করে) শিশুকে অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মানুষের তৈরি সিদ্ধান্তের কারণে শিশুদের জীবন যাচ্ছে।’

মার্চ মাস থেকে গাজা অবরোধ করে রেখেছে ইজরায়েলি সেনা। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ত্রাণ বা বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহকারী ট্রাককে। তার জেরে তীব্র খাদ্যসঙ্কটের মুখোমুখি গাজাবাসী। বিশ্বে বহু দেশের আপত্তির কারণে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিয়েছে ইজরায়েল। তবে তাতেও মিটছে না খাদ্যসঙ্কট। গাজায় মূলত আমেরিকার অর্থে ত্রাণশিবির চালায় ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ বা জিএইচএফ। সেই শিবিরগুলিও দিনের পর দিন বন্ধ পড়ে রয়েছে।

News Hub