• facebook
  • twitter
Saturday, 20 December, 2025

শনিবার প্রকাশিত হল প্রথম আলো ও ডেলি স্টার

বৃহস্পতিবারের তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে

বৃহস্পতিবার রাতে তাণ্ডব চলে বাংলাদেশের প্রথম সারির দুই সংবাদপত্র প্রথম আলো এবং ডেলি স্টারে। সংবাদ মাধ্যমের তপ্তরে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই তাণ্ডবের জেরে শুক্রবার দপ্তর বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় ওই দুই সংবাদমাধ্যমকে। একদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার প্রকাশিত হল ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেলি স্টার’।

শুক্রবার এই দুই পত্রিকার কোনও সংস্করণ প্রকাশ করা যায়নি। দীর্ঘক্ষণ অফলাইন ও অনলাইন মাধ্যমে কাজ বন্ধ ছিল। সংবাদপত্রের দীর্ঘ ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি কখনও আসেনি বলে জানাচ্ছেন ওই সংবাদপত্রের কর্মীরা। তবে বৃহস্পতিবারের তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

দুই সংবাদপত্রের ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তরে শুক্রবার সকালে পরিদর্শনে যান ঢাকা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। শনিবার প্রথম আলোর-র মুদ্রিত সংস্করণে প্রথম পাতার খবরের শিরোনাম ‘প্রথম আলো-ডেলি স্টার আক্রান্ত’। এ ছাড়া, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির শেষকৃত্য সংক্রান্ত প্রতিবেদনও রয়েছে প্রথম পাতায়। সেই সঙ্গে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিবৃতিও রয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশের প্রথম সারির ইংরেজি সংবাদপত্র হল ডেলি স্টার। শনিবার তার প্রথম পাতার শিরোনামে রয়েছে ‘আনবাওড’ শব্দটি অর্থাৎ আপসহীন। হাদির শেষকৃত্য সংক্রান্ত খবরও ডেলি স্টার-এর প্রথম পাতায় রয়েছে। এই দুই পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে শুক্রবারই ফোনে কথা বলেন ইউনূস। সংবাদপত্রের উপর হামলার তীব্র ধিক্কার জানিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বার্তা দেন।

হাদির মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই বাংলাদেশে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়।  ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় প্রথম আলো এবং ডেলি স্টার-এর দপ্তরের সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে প্রথম আলো-র দপ্তরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর ডেলি স্টার-এর দপ্তরে চলে তাণ্ডব। দু’টি তলায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। ১০ তলা ভবনের ছাদে কোনও রকমে আশ্রয় নেন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। ভোর সাড়ে ৪টের পর বাংলাদেশের সেনার হস্তক্ষেপে দমকলবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে।

 

Advertisement