পাকিস্তান থেকে ছোড়া ব্রহ্মাস্ত্রে ঘায়েল হবে আমেরিকা। এমনই পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে ইসলামাবাদ। গোপনে মদত দিচ্ছে চিন। তাই ইসলামাবাদ প্রশাসন বা পাক সেনাবাহিনী আমেরিকার সঙ্গে নিজেদের সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও আমল দিচ্ছে না ওয়াশিংটন। বরং ট্রাম্প প্রশাসনের মাথাব্যথা আরও বেড়েছে ভারতের এই প্রতিবেশি রাষ্ট্রকে নিয়ে। সেজন্য ইরানের পর এবার আমেরিকার নজরে পাকিস্তান। এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা বিভাগ খবর পেয়েছে, চিনের মদতে গোপনে পাক সেনাবাহিনী একটি পরমাণু অস্ত্রধর আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পথে এগোচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আমেরিকায় গিয়ে আঘাত করার মতো ক্ষমতা থাকবে। এই জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ও চিরাচরিত অস্ত্র বহনে সক্ষম। ৫,৫০০ কিমির বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে যাতে সহজে আঘাত হানতে পারে, সেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে ইসলামাবাদ।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান এতদিন বলে আসছে ভারতের থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে তারা পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে। এজন্য তারা স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে বলে দাবি করে এসেছে। কিন্তু তাদের কাছে কোনও অন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নেই। অথচ ২০২২ সালে ভূমি থেকে ভূমি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শাহিন থ্রি পরীক্ষা করেছিল। এই শাহিন ৩২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে। ভারতের বেশ কয়েকটি শহর শাহিনের নাগালের মধ্যে রয়েছে। এবার আমেরিকাকেও নাগালের মধ্যে রাখতে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে ইসলামাবাদ। কোনও জরুরি পরিস্থিতে ওয়াশিংটন ভারতের পক্ষ নিলে যাতে সহজে আমেরিকার উপর হামলা চালানো যায়, সেজন্য এই অস্ত্র হাতে রাখতে চাইছে পাকিস্তান।
সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান তাদের পরমাণু শক্তিবহর বাড়াতে চাইছে। ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স’-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, খুব গোপনে এই পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছে। সেই কাছে ওতঃপ্রোতভাবে সহযোগিতা করতে চিন। তবে এই উদ্যোগের উপযুক্ত প্রমাণ হাতে পেলেই পাকিস্তানকে পরমাণু শত্রুদেশ বলে দাগিয়ে দিতে পারে আমেরিকা।
পরমাণু অস্ত্রধারী যেসব দেশকে আমেরিকা তাদের দেশের পক্ষে বিপজ্জনক ও বিরোধী শক্তি বলে মনে করে, তাদের নামের পাশে শত্রুদেশ বলে তকমা লাগিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে পরমাণু অস্ত্রধারী চিন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে শত্রুদেশ হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে পাকিস্তানও। কারণ, পাকিস্তানের হাতে যদি ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বা আইসিবিএম আসে, তাহলে ওয়াশিংটনের সামনে পাকিস্তানকে শত্রু বলে দাগিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না। এছাড়া সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে আমেরিকা যাতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংসের চেষ্টা না করে, সেজন্য এই আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রাখছে পাকিস্তান।