কুর্সি বাঁচাতে নেপালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন কেপি শর্মা ওলি

নেপালে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক ডামাডোল। আসরে নেমেও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির গদি বাঁচাতে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে চিনকে।

Written by SNS Kathmandu | July 11, 2020 11:32 am

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (File Photo: IANS)

নেপালে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক ডামাডোল। আসরে নেমেও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি’র গদি বাঁচাতে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে চিনকে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌছেছে যে ইস্তফা দিয়ে হলে নেপালের শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিকে দু’টুকরো করে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন ওলি।

এই অবস্থায় নিজের কুর্সি বাঁচানোর জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা কথা ভাবছেন তিনি। দেশে করোনা মহামারী মোকাবিলায় এই ব্যবস্থা নিতে চান ওলি। ইতিমধ্যে দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করার এই পরিকল্পনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর সঙ্গে দেখা করেছেন ওলি। যদিও এই পরিকল্পনায় এখনও সম্মতি দেননি ভাণ্ডারী। পরিবর্তে বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে অন্যান্যদের বিরোধ মিটিয়ে নিতে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একতরফা একতরফা বিদেশনীতির জন্যই দলের ভিতরে চরম বিরোধিতার মুখে পড়েছেন ওলি। এককালের কমরেড তথা নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা পুষ্প কুমার দাহাল আজ ওলির সবচেয়ে বড় বিরোধী। ফলে দল এখন দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সে জন্যই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করতে চান ওলি। সেক্ষেত্রে কিছুদিনের জন্য নিজের গদি বাঁচাতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ওলির জরুরি অবস্থা জারি করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নেপালের সেনাবাহিনী। গত বুধবারও ওলি ও দাহালের মধ্যে দু’ঘণ্টা নিষ্ফল বৈঠক হয়। আজ শাসক দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেও মাধব নেপাল সহ অধিকাংশ সদস্য ওলির বিরুদ্ধে। প্রস্তাব পাশ করাতে হলে ওলি ও দাহালের সই লাগবে। যদি এখানে প্রস্তাব পাশ হয়, তা যাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সেখানে ওলির সমর্থকরা সংখ্যালঘু। ফলে জরুরি অবস্থা লাগু হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।