কিম জং উন নিরুদ্দেশ, এবার কি প্রেসিডেন্ট হবেন তাঁর কাকা? জল্পনা তুঙ্গে

একসময় শোনা যাচ্ছিল কিমের উত্তরসুরী হতে পারেন তাঁর বোন কিম ইয়ো জং। এখন আবার শোনা যাচ্ছে তাঁর কাকার নাম।

Written by SNS Pyongyang | April 30, 2020 6:09 pm

কিম জং উন (File Photo: IANS)

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন কী অবস্থায় আছেন এখনও জানা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক কারণেই এই পরিস্থিতিতে থামছে না জল্পনা। একসময় শোনা যাচ্ছিল কিমের উত্তরসুরী হতে পারেন তাঁর বোন কিম ইয়ো জং। এখন আবার শোনা যাচ্ছে তাঁর কাকার নাম। উত্তর কোরিয়ার সমাজ কঠোরভাবে পুরুষতান্ত্রিক। সেখানে কোনও মহিলাকে প্রেসিডেন্ট পদে মেনে নেওয়া হবে না। তাই শোনা যাচ্ছে, কিম যদি আর প্রেসিডেন্ট না থাকেন, তাঁর জায়গায় ক্ষমতায় আসতে পারেন তাঁর কাকা কিম পিয়ং ইল।

একটি মহল থেকে শোনা যাচ্ছে, কিম জং উন গুরুতর অসুস্থ। তাঁর পক্ষে আর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে না। তাঁর কাকা কিম পিয়ং ইলের বয়স ৬৫। উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং-এর ছেলে তিনি। ১৯৭০ সালে তিনি ক্ষমতার লড়াইয়ে বৈমাত্রেয় ভাই কিম জং ইলের কাছে পরাস্ত হন। কিম জং ইল ১৯৯৪ থেকে ২০১১ সাল অবধি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিম পিয়ং ইল ছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। চার দশক ধরে তিনি হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছর তিনি পিয়ংইয়ং-এ ফিরে আসেন।

উত্তর কোরিয়ায় আগামী দিনে কী হতে চলেছে, তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন থাই ইয়ং হে নামে এক মহিলা। তিনি একসময় ব্রিটেনে উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত ছিলেন। পরে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে আসেন। তাঁর মতে, কিমের বোনকে অনেকেই প্রেসিডেন্ট হিসাবে মেনে নেবেন না। তাঁর কথায়, কিম ইয়ো জং যদি প্রেসিডেন্ট হন, সেই সরকার স্থায়ী হবে বলে মনে হয় না। তখন দেশের অভ্যন্তরে নানা গোলমাল সৃষ্টি হবে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে অনেকে চাইবে কিমের কাকা প্রেসিডেন্ট। তিনি এখন গৃহবন্দি হয়ে আছেন।

গত ১৫ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ায় কিমের পিতামহ কিম ইল সুং-এর জন্মদিবস পালিত হয়। সেই উৎসবে কিম উপস্থিত ছিলেন না। উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারে এটি বিশেষ দিন। তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা। তা হলে কি কিম অসুস্থ? একটি সুত্রে জানা যায়, ৩৬ বছর বয়সী কিম অত্যধিক ধুমপান করতেন। খুব মোটা হয়ে গিয়েছিলেন। অতিরিক্ত পরিশ্রম করতেন। সেজন্য তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারপরেও কিমের বিপদ কাটেনি।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কিমের অসস্থতার কথা ঘোষণা করেনি। একনায়কের চিকিৎসার জন্য চিন থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নিউজ পোর্টালে অবশ্য বলা হয়েছে, কিমের কিছু হয়নি। কোভিড ১৯ থেকে বাঁচার জন্য তিনি শহর ছেড়ে দূরে চলে গিয়েছে। কিমের ব্যক্তিগত বিমানটি পিয়ংইয়ং-এ দাঁড়িয়ে আছে।