কানাডায় পড়তে গিয়ে মৃত্যু হল এক ভারতীয় পড়ুয়ার। ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর নাম তনয়া ত্যাগী। তাঁর বাড়ি দিল্লিতে। ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। একটি সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, গত ১৭ জুন সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তনয়া মারা গিয়েছেন। ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে তারা।
কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরির ভারতীয় শিক্ষার্থী তনয়া ত্যাগীর আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কনস্যুলেট এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে কনস্যুলেটের তরফ থেকে। তাঁর পরিবার ও নিহতদের বন্ধুদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।’
অন্যদিকে এক্স-এ প্রচারিত একটি পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, তনয়ার মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। সেই পোস্টে লেখা, ‘উত্তর-পূর্ব দিল্লির ৫৫৯/১১ডি, ১২ নম্বর লেন, বিজয় পার্কের ছাত্রী তনয়া ত্যাগী পড়াশোনার জন্য কানাডায় গিয়েছিলেন। ২০২৫ সালের ১৭ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ছাত্রীর পরিবারের তরফে তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।’
এটাই প্রথম নয়, অতি সম্প্রতি কানাডায় একাধিক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মাসখানেক আগে কানাডার একটি সমুদ্রসৈকতের ধার থেকে এক ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম বংশিকা সাইনি (২১)। প্রায় আড়াই বছর ধরে অটোয়ায় এক কলেজে পড়াশোনা করছিলেন বংশিকা। পাঞ্জাবের দেরা বস্সির বিধায়ক কুলজিৎ সিংহ রান্ধওয়ার ঘনিষ্ঠ আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা দেবেন্দ্র সাইনির কন্যা তিনি।