কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ। সমাজ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, কানাডার আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না তিনি। তবে ভোট হওয়া পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আচমকা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে উঠে এসেছিল অনিতার নাম।
রবিবার সমাজ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে পোস্ট করেন অনিতা আনন্দ। তিনি লেখেন, ‘আজ আমি ঘোষণা করছি যে, আমি কানাডার লিবারেল পার্টির পরবর্তী নেতা হওয়ার দৌড়ে নামব না এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।’ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সপ্তাহে ঘোষণা করেন যে, তিনি পদত্যাগ করছেন, নতুন নেতা নির্বাচন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ভারত-বিদ্বেষ এবং খলিস্তান সমর্থক ট্রুডো দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করেছেন। এরপরেই ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়। কানাডার সম্ভাব্য নয়া প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন, তাই নিয়ে চর্চা চলছে। সেই তালিকায় প্রথম সারিতে ছিলেন বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ। কিন্তু সেই দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত পাঁচ বছরে কানাডার রাজনীতিতে প্রভাবশালী মুখ হয়ে উঠেছেন অনিতা আনন্দ। পরিবহণ দপ্তর সামলানো ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জনসেবা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কোষাগার বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তামিল বাবা, পাঞ্জাবি মায়ের সন্তান ৫৭ বছরের অনিতা অক্সফোর্ডের পড়ুয়া। ২০১৯ সালে ওকভিলে সাংসদ নির্বাচিত হতেই ট্রুডো মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ৬ বছর ধরে নানাভাবে কানাডার দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিদায়ী বার্তায় অনিতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে নির্বাচিত করেছেন ওকভিলের জনতা। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে আইনের অধ্যাপক ছিলেন অনিতা। আনন্দ বলেছেন, ‘আমার শিক্ষকতা, গবেষণা, এবং আগের পেশাগত জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য এটি সঠিক সময়।’
Advertisement