এখনও বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অতিমারির প্রভাব আগামী কয়েক দশক ধরে বোঝা যাবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু । সংক্রমণ ছড়ানোর ছ’মাসের মধ্যেই এই সতর্কৰ্বার্তা শোনালো তারা।
চিনে গত বছর ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এক কোটি তিয়াত্তর লক্ষের বেশি মানুষ এই রোগের কবলে পড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের। এই অবস্থায় সংক্রমণের প্রভাবের কথা জানিয়েছে হু।
শুক্রবার বৈঠক বসেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমার্জেন্সি কমিটি। এই কমিটির ১৮ সদস্য ও আরও ৰচ উপদেষ্টা এই নিয়ে চারবার বৈঠকে বসলো। সেখানেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম জানান, ছ’মাস আগে আপনারা পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে আমি পাব্লিক হেলথ এমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন জারি করি। সে সময়ে চিনের ১০০ জনও সংক্রমিত হননি। কিন্তু এই অতিমারি এক শতকে আসা এক অতিমারিতে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব আগামী কয়েক দশক ধরে বোঝা যাবে।
এ দিনের বৈঠকে হু-প্রধান আরও বলেন, অনেক দেশ মনে করছে এই সংক্রমণ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তখনই সেখানে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ঢেউ আসছে। যা প্রথমবারের থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। তাই এখনও নিশ্চিন্ত হওয়ার সময় আসেনি। বহুদিন ধরে লকডাউন থাকায় অনেক দেশ আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। তাই ভ্যাকসিন ছাড়া এই ভাইরাস থেকে মুক্তির কোনও উপায় নেই।
তবে ভ্যাকসিন বের হলেও মাথায় রাখতে হবে— এই ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকা আমাদের শিখতে হবে। তাই কিছু কিছু জিনিস যেমন বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, রাস্তায় দূরত্ব মেনে চলাকে নিজেদের অঙ্গ করে তুলতে হবে।
এই বৈঠকে বিশ্বজুড়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও করোনাকে অতিমারি হিসাবে আখ্যা বজায় রাখবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি প্রথমবার করোনাকে পাব্লিক হেলথ এমারজেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন বলে আখ্যা দিয়েছিল হু।