ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়িয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক সংবাদপত্রের দপ্তরে। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি দেশের বিখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। রাতভর ছায়ানট ভবনে তাণ্ডব ও লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আছড়ে ভাঙা হয়েছে হারমোনিয়াম।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১টার সময় ধানমন্ডিতে ছায়ানটের ভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ যা সামনে পেয়েছে তাই ভাঙা হয়েছে। লাঠি দিয়ে ভাঙা হয়েছে দরজা-জানলা। ছায়ানটের সাততলা ভবনের প্রতিটি ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
Advertisement
সমাজ মাধ্যমে প্রাপ্ত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সনজীদা খাতুনের ছবি ছিঁড়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ছেঁড়া পড়েছে লালনের ছবিও। যদিও এই সব ছবি ও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান। রাত ৩টে নাগাদ ছায়ানটের তরফে সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, সংগঠনের কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে। ওই ভবনে যে সমস্ত সঙ্গীতচর্চার ক্লাস নেওয়া হত, আপাতত তা বন্ধ থাকবে।
Advertisement
ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিও বৃহস্পতিবার রাতে হামলার শিকার হয়েছে। এর আগে ওই বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছিল। অবশিষ্টাংশই ফের ভেঙেছেন বিক্ষোভকারীরা। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা হাদি গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে সরকারি উদ্যোগে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। হাদির মাথায় গুলি লেগেছিল। ছ’দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর বৃহস্পতিবার রাতে হার মানেন হাদি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
Advertisement



