সোমবার বাংলাদেশ হাইকোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি। এর আগে ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত চিন্ময়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চিন্ময়ের আইনজীবীরা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানির দিনক্ষণ ধার্য করেছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ওইদিন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে জামিনের সওয়াল করেন। চিন্ময়কে আদালতে হাজির করা হয়নি। আদালতে আইনজীবীর উপস্থিতিতে আসামির ভার্চুয়াল হাজিরায় জামিন শুনানি হয়। প্রায় আধ ঘণ্টার শুনানি চলে।
Advertisement
রপর সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার আবেদন মেনে দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম ধৃত সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারক বলেছিলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ধৃত চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
Advertisement
চিন্ময়ের প্রথম আইনজীবী শুভাশিস শর্মা গ্রেপ্তারি এড়াতে আত্মগোপন করেছেন। দ্বিতীয় আইনজীবী রবীন্দ্র দাস বুকে ব্যথা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি চিন্ময়ের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
২ জানুয়ারির আগে চিন্ময়কৃষ্ণকে দু’বার আদালতে তোলা হলে প্রথমবার তাঁর পক্ষে কোনও আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। কারণ মৌলবাদীদের তরফে আইনজীবীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এমনকি সন্ন্যাসীর হয়ে দাঁড়ানো আইনজীবীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়েই সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠায় বাংলাদেশের আদালত।
দ্বিতীয়বার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে যান আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। কিন্তু সেবারও ভরা এজলাসে প্রবীণ আইনজীবীকে হেনস্থা করা হয় এবং তাঁকে চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে সওয়ালও করতে দেওয়া হয়নি।
Advertisement



