• facebook
  • twitter
Monday, 14 July, 2025

পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১৬ সেনা জওয়ান 

এছাড়াও অন্ততপক্ষে ২৯ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ১০ জন সেনা এবং ১৯ সাধারণ নাগরিক। আহতদের দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পাকিস্তানে এক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৬ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অন্ততপক্ষে ২৯ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ১০ জন সেনা এবং ১৯ সাধারণ নাগরিক। আহতদের দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাকিস্তান সরকারের একজন আধিকারিক এক সংবাদ সংস্থাকে জানান, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা কনভয় লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। তাঁর কথায়, ‘সেনা কনভয়ে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে এক আত্মঘাতী জঙ্গি।’ আরও জানা গিয়েছে, বিফোরণের জেরে ওই এলাকার বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান তালিবানের একটি শাখা হাফিজ গুল বাহাদুর সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, শনিবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটে।বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি একটি সেনা কনভয়কে লক্ষ্য করে জোরে ধাক্কা মারে। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ২টি বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। আহত হয়েছে ৬ শিশুও। আশেপাশের এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

পাকিস্তানের ওাজিরিস্তানে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান তথা টিটিপি। গত মার্চে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে জান্ডোলা চেকপোস্টের কাছে সেনা শিবির লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল টিটিপি। অভিযানে নেমে ১০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে সেই সময় নিকেশ করে পাক সেনা। মার্চ মাসেই গুডালার এবং পিরু কুনরির কাছে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালায় বালুচ লিবারেশন আর্মি। প্রাণ যায় ২১ জন যাত্রী এবং ৪ আধা সেনা জওয়ানের। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকা ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি হামলার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ সূচক অনুযায়ী ২০২৫-এ পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে  সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭৪৮। ২০২৪ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১ হাজার ৮১। শনিবারের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

২০২১ সালে কাবুলে তালিবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হিংসাত্মক ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এক সংবাদ সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান উভয় অঞ্চলে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির হামলায় প্রায় ২৯০ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা আধিকারিক বলে খবর।