• facebook
  • twitter
Saturday, 14 June, 2025

রানার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট, প্রত্যর্পণ রুখতে নতুন আবেদন

শুক্রবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের নবম সার্কিটের বিচারপতি প্রত্যর্পণের নির্দেশ দ্রুত পুনর্বিবেচনার জন্য রানার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।

ফাইল চিত্র

আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহা‌উর রানা। ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য বৃহস্পতিবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এরপর মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে আলাদা করে নতুন আবেদন জানিয়েছেন রানা।

পাক বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তাহাউর রানা বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলসের জেলে বন্দি রয়েছেন। ভারতে প্রত্যর্পণ আটকানোর শেষ আইনি প্রচেষ্টা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রানা। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এলিনা কাগানের কাছে একটি জরুরি আবেদন করেছিলেন তিনি। আবেদনপত্রে তিনি লেখেন, ‘আমি পাকিস্তানি এবং মুসলিম। তাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমার উপর অত্যাচার চালাবেন বলে আশঙ্কা করছি।’

শুক্রবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের নবম সার্কিটের বিচারপতি প্রত্যর্পণের নির্দেশ দ্রুত পুনর্বিবেচনার জন্য রানার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানাকে দেশে আনতে দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। ২৫ জানুয়ারি রানার প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওয়াশিংটন সফরকালে রানাকে প্রত্যর্পণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি খারিজ হয়ে গেলেও হাল ছাড়তে রাজি নন রানা। তাই সরাসরি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে প্রত্যর্পণ রোখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। রানার আইনজীবীদের যুক্তি, ‘যদি প্রত্যর্পণ স্থগিত না করা হয়, তাহলে মার্কিন আদালতের এক্তিয়ার থাকবে না এবং রানা ভারতে পৌঁছোনোর আগেই হয়তো মারা যাবেন।’ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কী নির্দেশ দেন, সেটাই এখন দেখার।

সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপরি রানার আর্জি খারিজ করে দিলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে আনা হবে তাহা‌উর রানাকে। তাকে যে মহারাষ্ট্রের কোনও জেলে রাখা হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সূত্রের খবর, রানাকে ভারতে এনে এনআইএ আদালতে তোলা হবে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ।

ভারতের অভিযোগ, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে আসা ১০ লস্কর জঙ্গি মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলার পরিকল্পনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন রানা। তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তান-জাত মার্কিন জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী ছিল তাহাউর রানা। লস্কর জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল তাঁরা। সূত্রের খবর, রানা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভারতে বিচার হলে তাঁকে প্রাণদণ্ডের মুখে পড়তে হতে পারে। সেই কারণেই আইনের ফাঁকফোকরকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।