• facebook
  • twitter
Saturday, 20 December, 2025

ময়মনসিংহে যুবক খুনে গ্রেপ্তার ৭, বিবৃতি দিয়ে জানাল ইউনূস সরকার

শনিবার সকালে ইউনূসের দপ্তর থেকে বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু ঘিরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। শুক্রবারও দেশজুড়ে চলে ভাঙচুর। প্রথম সারির দু’টি সংবাদ মাধ্যমের অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খুলনায় এক সাংবাদিককে গুলি করে খুন করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙতে নামানো হয় বুলডোজার। ভাঙচুর করা হয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্কৃতিকেন্দ্র ছায়ানট ভবনেও। চট্টগ্রামে ভারতী উপদূতাবাস লক্ষ্য করে ঢিল-পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগও ওঠে। এই অশান্তির মধ্যেই ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে ও পরে আগুন ধরিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে।

এবার ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় পদক্ষেপ করল মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। শনিবার সকালে ইউনূসের দপ্তর থেকে বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। ময়মনসিংহে নিহত ওই যুবকের নাম দীপু দাস। বয়স ২৭ বছর। স্থানীয় একটি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ভালুকা উপজেলায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজিত জনতা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। যুবকের মরদেহ গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তারপর প্রকাশ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

মুহাম্মদ ইউনূস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপুচন্দ্র দাসকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সাত ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ ইউনূসের দপ্তর থেকে ধৃতদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ধৃতদের বয়স ১৯ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে। সাতজনের মধ্যে ১৯ বছরের দু’জন এবং ২০ বছরের দু’জন যুবক রয়েছে। তারা হল, ১৯ বছরের মহম্মদ লিমন সরকার, ১৯ বছরের মহম্মদ তারেক হোসেন, ২০ বছরের মহম্মদ মানিক মিয়া, ২০ বছরের নিজুম উদ্দীন। বাকি তিন জন হল ৩৮ বছরের আলমগির হোসেন,  ৩৯ বছরের এরশাদ আলি,এবং ৪৬ বছরের মহম্মদ মিরাজ হোসেন আকন।

Advertisement

ময়মনসিংহে হিংসার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর দীপুর দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রাত পর্যন্ত তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের খোঁজ পায়নি পুলিশ। কেউ আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ দায়ের না-করায় রাত পর্যন্ত মামলা দায়েরও করা হয়নি। পরে  এই ঘটনায় পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Advertisement