বেনারসের সম্ভ্রান্ত হোটেলে ব্রেকফাস্টের টেবিলে বসে ভদ্রলোক বিস্ফারিত চক্ষে টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে। এক মহিলা নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ে খবর থেকে চোখ সরছিল না।
লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ , টিকাকরণের জোরের মধ্যে দিয়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ কার্যত অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সফল দেশ। দৈনিক নিম্নমুখী সংক্রমণই তার প্রমাণ।
রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৩৩ জন।
বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে দেশবাসীর প্রথম পছন্দ মমতাই। দু'নম্বরে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী অনেকটাই পিছনে।
আইআইটি কানপুরের গবেষক দল জানিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দিল্লি এবং মুম্বইয়ের সংক্রমণ শিখর ছুঁয়েছে। তার সঙ্গে দেশেও বেড়েছে করোনা সংক্রমন।
দেশে মোট আক্রান্তের পরিমাণ বেড়ে ৩ কোটি ৬৭ লক্ষের গণ্ডি টপকে গেল। এর মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬ হাজার ৪১।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন।
বিদেশে বসে অব্যাহতভাবে দেশের বিরুদ্ধে প্রচার চালালে তাদের পাসপোর্ট বাতিল হবে। তাদের তালিকা করে যাচাই-বাছাই করে পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাদীন রোগী ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১ লক্ষ ১৮ হাজারের বেশি।
দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও কমেছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩২৫ জনের। দৈনিক সংক্রমণ বা পজিটিভিটি রেট প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ।