মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেতাব জয়ী ভারতীয় দলের অভিযানে সবচেয়ে বড় শক্তি বলতেই ছিলেন প্রতীকা রাওয়াল। তাঁর দুরন্ত ব্যাট থেকে প্রচুর রান এসেছে। এমনকি শতরান করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় দলে তিনি নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। কিন্তু অনেক সময় কপাল ভালো না থাকলে পিছিয়ে পড়তে হয়। ঠিক সেই রকমই ঘটনা ঘটল প্রতীকার ক্রিকেট জীবনে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে প্রতীকা চোট পেলেন। সেই চোটের কারণে শেষ চারে যেমন খেলতে পারলেন না, এমনকি ফাইনালও খেলতে পারলেন না। সেই জায়গায় শেফালি বর্মা এসে ভারতকে উজ্জ্বল করলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রতীকার হাতে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের হাতে যে মেডেল তুলে দেওয়া হয়, সেই মেডেলও তিনি পেলেন না। অবশ্যই এই আক্ষেপ নিয়ে প্রতীকাকে আগামী দিনগুলি দেখতে হবে।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন ২৫ বছর বয়সি ওপেনার। স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে বহুবার বড় রানের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩০৮ রান। তিনি এবারের টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সর্বোচ্চ ১২২ রান। চোটের জন্য দলে না থাকলেও প্রতীকা হুইল চেয়ারে বসে সতীর্থদের সঙ্গে সেলিব্রেট করেন বিশ্বজয়ের মুহূর্ত। এমনকি দেখতে পাওয়া গেছে অধিনায়ক হরমনপ্রীত ছুটে এসে প্রতীকাকে উৎসবে শামিল করাতে। আইসিসি নিয়ম অনুসারে বিশ্বজয়ের মেডেল শুধুমাত্র ১৫ জনের যে দল সেদিন ঘোষণা হয়, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেডেল বঞ্চিত খেলোয়াড় হিসেবে প্রতীকা থেকে গেলেন।
২০০৩ সালের পুরুষ বিশ্বকাপের সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার জেসন গিলেস্পিরও এমন ঘটনা ঘটেছিল। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের অভিযানে তিনি চারটি ম্যাচে খেলেছিলেন। ৮ উইকেট ছিল তাঁর নামে। তবে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় নাথান ব্র্যাকেনকে সুযোগ দেওয়া হয়। সেবার গিলেস্পিও বিজয়ীর পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।



