বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকা চোকার্স নামাবলি ঝেড়ে ফেলতে পারবে : ওয়েসেলস

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলস সােমবার সাফ জানিয়েদিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল তাদের গায়ে আটকে যাওয়া ‘চোকার্স’ লেবেলটি তুলে দিতে পারবে যদি বিশ্বকাপের মতাে প্রধান আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারে এবং ইংল্যান্ডে।

Written by SNS New Delhi | May 21, 2019 5:43 pm

কেপলার ওয়েসেলস

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলস সােমবার সাফ জানিয়েদিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল তাদের গায়ে আটকে যাওয়া ‘চোকার্স’ লেবেলটি তুলে দিতে পারবে যদি বিশ্বকাপের মতাে প্রধান আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারে এবং ইংল্যান্ডে।

ফুটবলে একদা জার্মানির সঙ্গেও এই লেবেলটি যুক্ত হয়ে গিয়েছিল কারণ টুর্নামেন্টের গােড়ার দিকে ভাল খেললেও শেষ অবধি তারা দক্ষিণ আফ্রিকার মতােই চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাে না। আধুনিক কালের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অধিনায়ক ছিলেন ওয়েসেলস। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা বিস্ময়করভাবে ব্যর্থ হয়। ওয়েসেলস বলেছেন, এবারও দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ জয়ে আদৌ ফেভারিট নয় সেটাই তাদের কাছে শেষ পর্যন্ত আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাই ছিল সেরা দল। তবুও তারা সেবার বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ওয়েসেলস বলেছেন, মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চোকার্স বলে ডাকবে যতক্ষণ না আমরা আইসিসি’র কোনও টুর্নামেন্ট জিততে পারবাে।

ভারতের রাজধানীতে একটি প্রমােশনাল ইভেন্ট চলাকালে ভিডিও কনফারেন্সে ওয়েসেলস বলেছেন, এবারও যে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেভারিট নয় এটা খুব ভাল জিনিস। খুব বেশি লােক দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন হবে আশা করছে না। তাই তারা অনায়াসে র‍্যাডারের তলা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে এবং সেমিফাইনালে উঠে যেতে পারে। সেখান থেকেই আসল লড়াই শুরু হবে।

ওয়েসেলসের বয়স এখন ৬১। তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। এ বি ডিভিলিয়ার্স যে বিশ্বকাপে খেলছেন না এটা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বড় ক্ষতি বলে মনে করছেন। তিনি বলেছেন ডিভিলিয়ার্স ছিলেন দলে একটা বিরাট ব্যাপার। এখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুধু হাসিম আমলা এবং অন্যদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।

ওয়েসেলসের মতে, বিশ্বকাপ জয়ে তিনটি ফেভারিট দেশ হল ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ভারত একটি খুব ভাল একদিনের ম্যাচের দল। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতাে তাদের হারানােও খুব কঠিন। কিন্তু ইংল্যান্ড উদ্যোক্তা দেশ বলে সবসময় চাপের তলায় থাকবে।

ভারতের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কথা বলার সময় ওয়েসেলস দলে চার নম্বর স্থানটি নিয়ে যে এত কথাবার্তা হয়েছে সেটার উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি মনে করেন, এবং পছন্দ করেন বিরাট কোহলিরই উচিত তিন নম্বরের জায়গায় চার নম্বরে ব্যাট করতে যাওয়া।

বিশ্বকাপের ম্যাচে এমন পরিস্থিতিও আসতে পারে যখন দশরানের মধ্যে ভারতের প্রথম দুটি উইকেট চলে যাবে তখন কোহলিকেই দলের ইনিংস পুননির্মানের কাজ করতে হবে। তবে এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত নয় কারণ কোহলি তিন নম্বরে সত্যিই ভাল কাজ দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি তাঁকে চার নম্বরে দেখতে চাই।

অধিকাংশ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবারের বিশ্বকাপকে বড় রানের প্রচুর ম্যাচ হবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। কারণ ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে দেখা গেছে সেখানে উইকেট কতখানি ব্যাটিং সহায়ক। তাই ওয়েসেলস মনে করছেন বােলারদের এবার বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।

জুন জুলাই মাসে ইংল্যান্ডে দিনেরবেলা খেলা প্রচণ্ড কষ্টের কারণ গরম অত্যন্ত বেশি। তার মতে প্রতিটি ম্যাচে প্রতিটি দল ৩০০ থেকে ৩২০ রান করবে। যদিও বিভিন্ন মাঠে ও জায়গায় পরিবেশ ও আবহাওয়া পার্থক্য হতে বাধ্য। কিন্তু ম্যাচের একটা মুহূর্ত আসবেই যখন বােলারদেরই শেষ কথা বলতে হবে।