• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৯০ বলে কোহলির দুরন্ত শতরান

বড় ম্যাচে তাঁর মানসিক দৃঢ়তা ও অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা লাগাতার লেংথ পাল্টালেও কোহলি ছিলেন অবিচল।

২২ গর্জের দৌড়ে আবারও নিজের রাজত্ব বিস্তার করলেন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় একদিনের খেলায় মাত্র ৯০ বলে ঝকঝকে শতরান তুলে ভারতকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দিলেন। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী কোহলি ম্যাচের গতিপথ নিজের ব্যাটের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। একের পর এক নিখুঁত শট খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের চাপে রাখেন তিনি।

যদিও ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে দল কিছুটা চাপে পড়ে। কিন্তু কোহলি নামার পরই ছবিটা একেবারে বদলে যায়। তিনি ধৈর্য, নিখুঁত শট নির্বাচন আর পরিস্থিতি বোঝার দক্ষতা দিয়ে ইনিংসটাকে এগিয়ে নিয়ে যান। সঙ্গী ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের রান সংগ্রহকে স্থির করেন।

Advertisement

কোহলির এই শতরান শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং বড় ম্যাচে তাঁর মানসিক দৃঢ়তা ও অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা লাগাতার লেংথ পাল্টালেও কোহলি ছিলেন অবিচল। মাটির অ্যাটমসফিয়ার, বাউন্স ও গতি—সবকিছু সামলে তিনি খেলেন এক সত্যিকারের ‘ম্যাচ নিয়ন্ত্রক’ ইনিংস।

Advertisement

ওদিকে দর্শক আসন থেকে ভারতীয় সমর্থকরা কোহলির প্রতিটি শটে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। মাঠের পরিবেশও যেন বদলে যায়। তাঁর শতরান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় ডাগআউটে দেখা যায় স্বস্তির নিঃশ্বাস। দলের বাকিদের কাছে এটি অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।

এই ইনিংস ভারতকে শুধু বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়নি, বরং সিরিজে আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোহলির এই ব্যাটিং প্রমাণ করল, বড় মঞ্চে তিনি এখনও একই রকম ধারালো, একই রকম ক্ষুধার্ত। ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ বলতে যে নামটি আগে বলা হত, আজও সেই নামটিই প্রথম সারিতে প্রতিধ্বনিত হয়। তিনি হলেন বিরাট কোহলি।

Advertisement