দুরন্ত জয় তুলে নিল ভারত ১৯ বছর বয়সী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানকে দুরমুশ করে। রবিবার দুবাইয়ের আইসিসি আকাডেমির মাঠে ভারতের ছেলেরা অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন বৈভব সূর্যবংশীরা।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। পাকিস্তানকে জয়ের জন্য ২৪১ রানের লক্ষ্য দেয়। কিন্তু ভারতের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪১.২ ওভারে মাত্র ১৫০ রান করেই ইনিংস হয়ে যায় পাকিস্তানের। ভারতের হয়ে দীপেশ দেবেন্দ্রন এবং কনিষ্ক চৌহান তিনটি করে উইকেট নেন। অ্যারন জর্জ ব্যাট হাতে ৮৫ রান করেন। তবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ৪৯ ওভারে নামিয়ে আনা হয়েছিল। ভারতীয় দল তাদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিকে ২৩৪ রানে পরাজিত করে।
কিন্তু রবিবারের ম্যাচে ভারতের কাছে পুরো দুরমুশ হয় পাকিস্তান।
Advertisement
পাঁচ বছর পর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এশিয়া কাপের শেষ গ্রুপ ম্যাচে ভারত মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে। এদিন শুরু থেকেই রান করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। ফাস্ট বোলার দীপেশ দেবেন্দ্রন সমীর মিনহাসকে মাত্র ৯ রানে সহজেই আউট করেন। তখন দলের স্কোর ছিল ২১ রান। এরপর দীপেশ আলি হাসান বালুচকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। দীপেশ আহাম হুসেনকেও মাত্র ৪ রানে আউট করেন। সুতরাং মাত্র ৩০ রানেই তিনটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর কনিষ্ক চৌহান ওপেনার উসমান খানকে (১৬ রান) আউট করে ভারতকে চতুর্থ সাফল্য এনে দেন। এরপর পাকিস্তানের অধিনায়ক ফারহান ইউসুফকে ২৩ রানে আউট করেন বৈভব সূর্যবংশী। এরপর খিলান প্যাটেল হামজা জহুরকে মাত্র ৪ রানে আউট করে ভারতটে ষষ্ঠ সাফল্য এনে দেন। এরপর কনিষ্ক চৌহান আব্দুল সুবহান (৬ রান) এবং হুফাইজা আহসানকে আউট করে ভারতকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। এরপর কিষাণ কুমার সিংহ মোহাম্মদ সায়াম (২ রান) এবং আলি রাজাকে (৬ রান) আউট করেন। ভারত ৪৬.১ ওভারে ২৪০ রান করে। তবে এদিন ভারতীয় দলের শুরুটা ছিল খুবই খারাপ ছিল। ভারত ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল।
বৈভব সূর্যবংশী মাত্র ৫ রান করতে পেরেছিলেন। তিনি মোহাম্মদ সায়ামের বলে ক্যাচ অ্যান্ড বোল্ড হন। এরপর আয়ুশ মাহাত্রে এবং অ্যারন জর্জ দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। আয়ুশ ২৫ বলে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ রান করেন। বিহান মালহোত্রা (১২) এবং বেদান্ত ত্রিবেদী (৭ রান) হতাশ করেন। বেদান্তের আউটের সময় ভারতের স্কোর ছিল ১১৩/৪। এরপর অ্যারন জর্জ এবং অভিজ্ঞান কুন্ডু জুটি বেঁধে পঞ্চম উইকেটে ৬০ রান করেন। এই জুটির সময় জর্জ ৫৭ বলে আটটি চার মেরে অর্ধ শতরান করেন।
Advertisement
জর্জ ৮৮ বলে ৮৫ রান করেন, ১২টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন। অভিজ্ঞান কুণ্ডুর আউটের পর ব্যাট করতে নেমে কনিষ্ক চৌহান এক অসাধারণ ইনিংস খেলে দলের জয়ের পথ সহজ করে দেন।কনিষ্ক ৪৬ রান করেন, তিনটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে।
তবে খিলান প্যাটেল ৬ রান ও হেনিল প্যাটেল ১২ রান। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ সায়াম সর্বাধিক তিনটি উইকেট নেন।
Advertisement



